কলকাতা: জাতীয় দলে বাংলা থেকে নতুন কোনও মুখ নেই।
আইপিএলের মঞ্চে বাংলার ক্রিকেটারেরা দল পাচ্ছেন না।
জাতীয় স্তরেও বেহাল পারফরম্যান্স। হাল ফেরাতে তাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল সিএবি। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বৃহস্পতিবার সিএবি-তে এসে বৈঠক করবেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তৈরি করে দিতে পারেন ঘুরে দাঁড়ানোর নীল নকশা।
ঘরোয়া ক্রিকেটে করোনা আবহে এবার দুটিমাত্র টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রঞ্জি ট্রফি স্থগিত থাকলেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফি আয়োজিত হয়েছিল। আর দুটি টুর্নামেন্টেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলা। প্রথমে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ও পরে বিজয় হাজারে ট্রফি, দুটি টুর্নামেন্টেরই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলা। দলের এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরই নড়েচড়ে বসেছে সিএবি। ব্যর্থতার ছবিটা পাল্টাতে তৎপর সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। তিনিই সৌরভের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। সৌরভ আসবেন বলেই প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন। এবিপি আনন্দকে অভিষেক বললেন, 'ভারত-ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ দেখতে মহারাজদা ১২ মার্চ, শুক্রবার আমদাবাদ যাচ্ছে। আমরা তাই আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বৈঠক করে নিচ্ছি। এবার জাতীয় স্তরে বাংলার ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স খুব খারাপ। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। মহারাজদার কাছে পরামর্শ চাওয়া হবে। কীভাবে এগলে সাফল্য আসবে, সে ব্যাপারে উনি কী বলেন গুরুত্ব সহকারে শোনা হবে।'
প্রথমে সিএবি সচিব ও পরে সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাংলার ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছিলেন সৌরভ। যার মধ্যে অন্যতম ভিশন ২০২০ প্রকল্প। তৃণমূল স্তরে বাংলার ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য ভি ভি এস লক্ষ্মণ, মুথাইয়া মুরলীধরন, ওয়াকার ইউনিসদের কোচ করে এনেছিলেন। পরে ওয়াকার পাকিস্তানের কোচ হওয়ার পর টি এ শেখরকে নিয়োগ করে বাংলা। তবে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে বাংলার ক্রিকেট নিয়ে সরাসরি কোনও বৈঠক করতে দেখা যায়নি সৌরভকে।
সূত্রের খবর, বাংলার হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য কোপ পড়তে পারে দলের সাপোর্ট স্টাফদের ওপর। কোচ হিসাবে সম্ভবত অরুণ লালই থাকছেন। তবে বাংলা দলের সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সংখ্যক সাপোর্ট স্টাফ রয়েছেন বলে মনে করছে সিএবি-র একাংশ। সাপোর্ট স্টাফদের কয়েকজনকে সরানো হতে পারে। পাশাপাশি বয়স ভাঁড়ানো ও বাইরের ক্রিকেটারদের স্থানীয় ক্রিকেটে খেলা নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে পারে সিএবি।