২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালের আইপিএল-এ কেকেআর-এর হয়ে খেলেন সৌরভ। প্রথম বছর তিনিই অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএল-এ বাংলার মহারাজকে সরিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে অধিনায়ক করেন বুকানন। সেবার তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার তত্ত্ব চালু করার কথা জানান। ২০১০ সালে অবশ্য অধিনায়কত্ব ফিরে পান সৌরভ। তবে দলের পারফরম্যান্স ভাল না হওয়ায় পরের বছর তাঁকে ছেঁটে ফেলে কেকেআর। ২০১১ সালের আইপিএল-এর মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে দলে নেয় পুণে ওয়ারিয়র্স। পরের বছরও তিনি পুণের হয়েই খেলেন। কোনওবারই তাঁর দল উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভের সমালোচনা করে বুকানন বলেছেন, ‘আমার সেই সময় মনে হয়েছিল, অধিনায়ককে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তার খেলাও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটের উপযুক্ত হতে হবে। সেই কারণেই আমি সৌরভের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। আমার বিশ্বাস হয়নি, ও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে খেলার উপযুক্ত। ওকে এই ফর্ম্যাটের অধিনায়ক হিসেবেও আমি উপযুক্ত মনে করিনি।’
২০০৯ সালের আইপিএল-এ ম্যাকালামের নেতৃত্বে কেকেআর লিগ টেবলে সবার নীচে শেষ করার পর অধিনায়কের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার তত্ত্ব নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বুকানন। তবে তিনি এখনও এই তত্ত্বেই বিশ্বাসী। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, একজনের পক্ষে খেলার সবকিছু বোঝা কঠিন। অধিনায়ককে বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই কারণেই মাঠে সবাইকেই অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমি এই কথাই বলেছিলাম।’