নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেটের রিমোট কন্ট্রোল এখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে। সর্বসম্মতিতে মনোনয়ন জমার পরই সৌরভের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া কার্যত নিশ্চিত ছিল। আর সেটাই হল। আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ড সভাপতি হলেন প্রিন্স অব কলকাতা। ঘোষণাও হয়ে গেল। ২৩ তারিখ বোর্ড সভাপতি হিসেবে প্রথম বৈঠক। তারপর হাতে ১০ মাস সময়। পাহাড় প্রমাণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হবে টিম সৌরভ। প্রাথমিকভাবে নজরে থাকবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং সঙ্গে অতি অবশ্যই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অস্থিরতা কাটিয়ে স্থায়ী ও স্বচ্ছ প্রশাসন নিয়ে আসা। সচিন, লক্ষ্মণের মতো কিংবদন্তীরা আশাবাদী, সৌরভ এই চ্যালেঞ্জে সাফল্য পাবে, ভারতীয় ক্রিকেট উন্নতির শিখরে পৌঁছবে। শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন বার্তা এসেছে হরভজন, কাইফ, যুবির তরফেও।


যুবরাজ সিংহের ট্যুইট, “ভারত অধিনায়ক থেকে বিসিসিআই সভাপতি, মহান মানুষের মহৎ পথ চলা। ক্রিকেটার থেকে প্রশাসক, খেলোয়াড়দের মনোভাব বুঝতে এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে। দাদি, তোমাকে অভিনন্দন।” সঙ্গে আক্ষেপের সুরেই যুবি যোগ করেন, ইয়ো ইয়ো টেস্টের সময় যদি তুমি বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকতে!





এ কথা বিশ্ববন্দিত, ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট এবং দল যখন ফিটনেসের ওপর সর্বাধিক জোর দিয়ে ইয়ো ইয়ো টেস্টকে বাধ্যতামূলক করল, তখন যুবরাজের মতো তারকা কসরত করেও কাঙ্খিত সাফল্য পাননি। অনেকে মনে করেন ক্যান্সার জয়ী যুবরাজের ক্রিকেট কেরিয়ার এভাবে হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়ার পিছনেও রয়েছে বোর্ডের মানসিকতা। একাধিকবার, একাধিক সাক্ষাৎকারে এই তারকা অলরাউন্ডারকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ খেলতে চান। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, স্বপ্ন হয়েই থেকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অবসর ঘোষণা করেছেন যুবি। কানাডায় পেশাদার লিগে খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। তুলে রেখেছেন তাঁর পছন্দের নীল জার্সি।



যদিও, যুবরাজকে এখনও ‘সুপারস্টার’-ই মনে করেন মহারাজ। যুবির ট্যুইটের জবাবে সৌরভের উত্তর, “ধন্যবাদ। তুমি সেরা। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছ। এখন ক্রিকেটের জন্য আরও ভাল কিছু করতে হবে। তুমি আমার সুপারস্টার। ঈশ্বর, আশীর্বাদ বর্ষণ করুণ।” সৌরভের এই উত্তর মন জিতে নিয়েছে নেটিজেনদের। অতীতে হরভজেনর অভিনন্দন বার্তারও উত্তর দিয়েছিলেন সৌরভ। ভাজ্জিকে পাশে চেয়ে সৌরভের সেই ট্যুইটও সাড়া ফেলেছিল।