পার্ল: অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথম একদিনের ম্যাচে চেনা মেজাজে এ বি ডিভিলিয়ার্স। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল।
বোলান্ড পার্কে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটে ৩৫৩ রান করে। পর্বতপ্রমাণ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা ২৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ডিভিলিয়ার্স ৬৮ বলে তাঁর কেরিয়ারের ২৫ তম সেঞ্চুরি করেন। এর মধ্যে ছিল ১০ বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারি। এরপরের ৩৬ বলে আরও পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষপর্যন্ত ১৭৬ রান করে আউট হন তিনি। এটাই কেরিয়ারে তাঁর সর্বোচ্চ রান।
ডিভিলিয়ার্সের দখলে রয়েছে দ্রুততম ৫০, ১০০ ও ১৫০ রানের রেকর্ড। একটা সময় মনে হচ্ছিল তিনি ক্রিস গেইলের ১৩৮ বলে ২০০ রানের রেকর্ডও ভেঙে দেবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত রুবেল হুসেনের একটি বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি। উল্লেখ্য, চারমাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরলেন এবি।
ম্যাচের পর ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, শুরুতে একটু নার্ভাস ছিলেন তিনি। কিন্তু উইকেটের উল্টো দিকে হাসিম আমলার ধীরস্থির মনোভাব তাঁর সেই নার্ভাসনেস কাটিয়ে দেয়।
এ বি জানিয়েছেন, দ্রুততম ডবল সেঞ্চুরির কথাও মাথায় এসেছিল। কিন্তু ওটাই তাঁর ইনিংসের লক্ষ্য ছিল না। লক্ষ্য ছিল, দলের জন্য যত বেশি সম্ভব রান করা।
ম্যাচে ডিভিলিয়ার্স যেভাবে একের পর এক বাউন্ডারি মারছিলেন, তা কিন্তু তাঁর দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা পারছিলেন না। ঢিমে গতির উইকেটে দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা মাত্র পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ছয় মারেন।