কেপ টাউন:  চতুর্থ দিনে ভারতীয় পেসারদের প্রত্যাঘাত। তবু, শেষরক্ষা হল না। কেপ টাউন টেস্টে প্রোটিয়া ব্রিগেডের কাছে ৭২ রানে হার বিরাটের টিম ইন্ডিয়ার। চার দিনেই শেষ ম্যাচ।


অথচ, এদিন আগুনে স্পেল দিয়ে শুরু করেছিলেন মহম্মদ শামি। আমলা, রাবাদা, ফিল্যান্ডারকে তুলে নেন তিনি। দু’প্লেসি, ডি’ভিলিয়ার্স, ডি’কক-কে তুলে নিয়ে প্রোটিয়া ইনিংসের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন বুমরাহ। ১৩০-এই শেষ প্রোটিয়া ইনিংস।

লক্ষ্য ২০৮। জয়ের আশা দেখেছিল বিরাট ব্রিগেড। কিন্তু, কেপ টাউনের পিচে কঠিন বাস্তবটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন ফিল্যান্ডার। চোটের জন্য বল করেননি স্টেইন। কিন্তু, একা ফিল্যান্ডারেরই শিকার ৬। কেপ টাউনের গ্রিন টপে ফের বেরিয়ে পড়ল ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল। বিজয়, শিখর, পূজারা, বিরাট...টপ অর্ডারের একই শোচনীয় অবস্থা। ব্যর্থ হার্দিকও। শেষ বেলায় লড়লেন শুধু অশ্বিন। অশ্বিন-ভুবি জুটির সৌজন্যেই ১০০-র গণ্ডী পেরোল ভারত। ৩৭ রানে অশ্বিন ফিরতেই ধস। ৭২ রানে টেস্ট জয় দক্ষিণ আফ্রিকার।

 

#পরের বলেই বুমরাহকে আউট করে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে দেন ফিলান্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৫ রানে অল আউট ভারত। খেলার একদিন বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা ৭২ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল। তৃতীয় দিন বৃষ্টির জন্য খেলা হতে পারেনি।


ফিলান্ডার ৪২ রানে ৬ উইকেট নেন। এছাড়া মর্কেল ও রাবাডা ২ টি করে উইকেট নেন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ৪২.৪ ওভার।

#১৩৫ রানে নবম উইকেট হারাল ভারত। ৪ রান করে ফিলান্ডারের বলে আউট অশ্বিন।


#দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় চোয়ালচাপা লড়াই করে অশ্বিন ও ভূবনেশ্বর জুটি। তাঁদের জুটিতে ৪৯ রান যোগ হওয়ার পর ফিলান্ডারের বলে ৩৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান অশ্বিন। ১৩১ রানে অষ্টম উইকেটের পতন হয় ভারতের।

# ৭৭ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন। আউট হার্দিক পান্ড্য।


# ৭৬ রানে অর্ধেক ইনিংস গুটিয়ে যায় ভারতের। ফিলান্ডারের বলে বোল্ড হয়ে যান রোহিত শর্মা (১০)।


#বড়সড় ধাক্কা খেল ভারত। ২৮ রান করে ফিলান্ডারের বলে লেগ বিফোর আউট কোহলি। ৭১ রানে চার উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা ভারত।


#২০৮ রান তাড়া করতে নেমে বিপাকে টিম ইন্ডিয়া। ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ১৬ রান করে মর্কেলের বলে আউট হন শিখর ধবন। ৩০ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ফিলান্ডারের বলে ১৩ রানে আউট মুরলী বিজয়। স্কোরবোর্ডে আরও ৯ রান যোগ হওয়ার পর মর্কেল তুলে নেন চেতেশ্বর পূজারাকে। পূজারা মাত্র ৪ রান করেন। ১৫ ওভার শেষে ভারত ৩ উইকেটে ৫২। ক্রিজে রয়েছেন কোহলি ও রোহিত।


# জমজমাট কেপটাউন টেস্ট। জয়ের জন্য ২০৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করেছে ভারত। ৬ ওভারে দুই ওপেনার ইতিমধ্যেই ২৪ রান তুলে ফেলেছেন। মুরলী বিজয় ৮ ও শিখর ধবন ১৫ রানে ব্যাটিং করছেন। প্রথম ইনিংসের তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে আশা জাগিয়ে শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া।


দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিততে গেলে ভারতকে করতে হবে ২০৮ রান। আজ ম্যাচের চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিন খেলার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ২ উইকেটে ৬৫। আজ আর মাত্র ৬৫ রান করেই বাকি ৮ উইকেট হারাল তারা। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমাররা। এখন ভারতের ব্যাটসম্যানদের ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।

বৃষ্টির জন্য তৃতীয় দিনের খেলা ভেস্তে গেলেও, কেপ টাউনে ঝলমলে রোদ ওঠার পর আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়। শুরু থেকেই পরপর উইকেট তুলে নিতে থাকেন ভারতের পেসাররা। বাংলার পেসার মহম্মদ শামি তিনটি, জসপ্রীত বুমরাহ তিনটি এবং ভুবনেশ্বর কুমার দু’টি উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় দিন দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য।

শামি আজ শুরুতেই হাসিম আমলা (৪) ও কাগিসো রাবাদাকে (৫) ফিরিয়ে দেন। ক্রিজে মাত্র আট রান যোগ হওয়ার পরেই দু’টি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিকে দুর্দান্ত একটি বলে ফেরান বুমরাহ। বলটি বাউন্স করে দু প্লেসির গ্লাভস ছুঁয়ে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে চলে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কোনও রানই করতে পারেননি। এরপর বুমরাহরই বলে ঋদ্ধিমানের হাতে ধরা পড়েন কুইন্টন ডি কক (৮)। প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সাফল্য পায় ভারত। এরপর ভেরনন ফিল্যান্ডারকে (০) এলবিডব্লু করেন শামি। কেশব মহারাজকে (১৫) ফেরান ভুবনেশ্বর। তিনিই মর্নি মর্কেলকে (২) ফেরান। এ বি ডিভিলিয়ার্স (৩৫) লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন। তবে তিনি বুমরাহর বলে ভুবনেশ্বরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।