সম্প্রতি আফ্রিদির সঙ্গে মিয়াদাঁদের ঝগড়া চরম আকার ধারণ করেছিল। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া আফ্রিদি সম্মানজনকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চাইছেন। এ জন্য তিনি একটি ফেয়ারওয়েল ম্যাচের জন্য পাক ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আর্জি জানান। কিন্তু এ ব্যাপারে পাক দলের প্রাক্তন কোচ মিয়াদাঁদ বলেন, পয়সার লোভেই এই ম্যাচের দাবি জানিয়েছেন আফ্রিদি। শুধু তাই নয়, আফ্রিদির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়েরও অভিযোগ তোলেন মিঁয়াদাদ। তিনি বলেন, আফ্রিদিকে নিজের মেয়ের নামে শপথ নিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি ফিক্সিংয়ে যুক্ত নন। এর জবাবে মিঁয়াদাদকে আইনি নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান আফ্রিদি।
কিন্তু মিয়াদাঁদের আত্মীয় দাউদ ইব্রাহিম আসরে নামার পরেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার চক্রী দাউদ আফ্রিদিকে ফোন করে হুমকি দেয়। এরপরেই মিয়াদাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘জাভেদ ভাইয়ের কথায় আমি ও আমার পরিবার দুঃখ পেয়েছিলাম৷ তবে, উত্তরে আমি যা বলেছি, তাতেও দুঃখ পেয়েছেন তিনি৷ সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী৷’ মিয়াদাঁদও সুর নরম করেন। তিনি বলেন, ‘উত্তেজিত হয়ে অনেক কিছু বলে ফেলেছিলাম৷ এমন অনেক কথা বলেছিলাম, যেটা একেবারেই উচিত হয়নি৷ আমি আমার মন্তব্য ফেরত নিচ্ছি৷’
আফ্রিদি ও মিয়াদাঁদের ঝামেলা মিটে গেল। কিন্তু যে প্রশ্নের উত্তর মিলল না তা হল, নিজেদের ইচ্ছায় এই দুই ক্রিকেটার কি হাত মেলালেন, না কি এর পিছনে রয়েছে দাউদ?