কলকাতা: বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যাভলিনের ফাইনালে রবিবার সকালে প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসাবে পদক জিতলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে অভিষেক আবেশ খানের (Avesh Khan)। বাবা হলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য (Krunal Pandya)। খেলার মাঠের সারা দিনের সব খবর এক ঝলকে।


শাস্তির কবলে টিম ইন্ডিয়া


প্রথম ওয়ান ডেতে নিজেদের নির্ধারিত সময়ে ৫০ ওভারের কোটা সম্পূর্ণ করতে পারেনি শিখর ধবনের (Shikhar Dhawan) নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। এর জেরেই আইসিসির শাস্তির মুখে পড়তে হল গোটা দলকেই। আইসিসি এই বিষয়ে বেশ কড়াভাবে নিয়ম পালন করে। খেলোয়াড়দের জন্য ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার যে নিয়মবিধি রয়েছে, সেই অনুযায়ী কোনও দল তাদের দেওয়া নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারলে শাস্তি পায়।


সেই নিয়ম অনুযায়ীই সেই দল যে কয়টি ওভার নির্ধারিত সময়ে করতে পারবে না, সেই প্রতিটি ওভারের জন্য দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি অর্থাৎ ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত বেতন কাটা যাবে। এই নিয়মের জেরেই ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রথম ওয়ান ডে থেকে প্রাপ্ত বেতনের ২০ শতাংশ কাটা গিয়েছে। প্রথম ওয়ান ডের ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন ভারতীয় দলকে এই শাস্তি দেন। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক শিখর ধবন এই অভিযোগ স্বীকার করে, ম্যাচ রেফারির দেওয়া এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন। 


দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে আবেশ খানের অভিষেক


আজ, রবিবার (২৪ জুলাই) দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে (IND vs WI 2nd ODI) অভিষেক ঘটাচ্ছেন ভারতীয় ফাস্ট বোলার আবেশ খান। এর আগে টি-টোয়েন্টি ভারতের হয়ে খেললেও এই প্রথম ৫০ ওভারের ম্যাচে ভারতীয় একাদশে সুযোগ পেলেন আবেশ। গত ম্যাচে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ সাফল্য পাননি। তাকে বসিয়েই এই ম্যাচে আবেশ খানকে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় একাদশে দ্বিতীয় ম্যাচে বদল বলতে এই একটাই। 


আবেশ একা নন, এর আগে কুইন্স পার্ক ওভালের এই মাঠেই অভিষেক ঘটেছিল আরও চার ভারতীয় তারকার। ১৯৮৯ সালে রবিন সিংহ, ১৯৯৭ সালে আবে কুরুভিল্লা ও নোয়েল ডেভিড এবং ২০১৭ সালে কুলদীপ যাদব এই মাঠে ভারতের হয়ে নিজেদের ওয়ান ডে অভিষেক ঘটান। পঞ্চম ভারতীয় হিসাবে এই মাঠেই অভিষেক ঘটালেন ২৫ বছর বয়সি আবেশ।


ম্যাথিউজের শততম টেস্টে চন্দিমলের দাপট


তাই দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে (SL vs PAK 2nd Test) সিরিজে সমাতে ফেরাতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার (২৪ জুলাই) প্রথম দিনের লড়াইয়ে কিন্তু দুই দলের পক্ষেই ৫০-৫০। তর্কের খাতিরে বলা যেতে পারে খানিকটা হলেও এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। সৌজন্যে ফের দীনেশ চন্দিমল (Dinesh Chandimal)।


এই নিয়ে টানা নিজের চতুর্থ টেস্ট ইনিংসে ৫০ রানের গণ্ডি পার করলেন চন্দিমল। তবে আগের টেস্ট ম্যাচের দুই ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও তার শতরান অধরা রয়ে গেল। ৮০ রানেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হল তাকে। চন্দিমলের সঙ্গে ৭৫ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও, অর্ধশতরান হল না নিজের শততম টেস্ট খেলা আরেক অভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কান তারকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের (Angelo Mathews)। ৩৬ রানের মাথায় বাবর আজম তার সহজ ক্যাচ ফেললেও, ৪২ রানেই সাজঘরে ফিরলেন তিনি। প্রথম দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছয় উইকেটের বিনিময়ে ৩১৫ রান। 


বার্সেলোনার ক্লাসিকো জয়


মরসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদের(Real Madrid) মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা (Barcelona)। তা সে যতই প্রাক মরসুম ম্যাচ হোক না কেন, মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার বদলে লাস ভেগাসে খেলা হোক না কেন, ক্লাসিকোর গুরুত্ব সবসময়ই ভিন্ন। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই সমর্থকদের হতাশ করল না। দুরন্ত গোল, দুর্দান্ত কিছু সেভের পাশাপাশি দুই দলের খেলোয়াড়দের লড়াইটাও চোখে পড়ল এই ম্যাচে।


সরকারিভাবে চুক্তি সই করার পর এটাই বার্সেলোনা জার্সিতে রবার্ট লেওয়ানডস্কির (Robert Lewandoeski) প্রথম ম্যাচ। তাই বার্সা সমর্থকরা বিশেষভাবে এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তবে লেওয়ানডস্কি হতাশ না করলেও, ম্যাচে রং ছড়ালেন আরেক নতুন খেলোয়াড় রাফিনহা। ম্যাচের ২৭ মিনিটে বাঁ-পায়ে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, পাশাপাশি ভবিষ্যতের খানিকটা আভাসও দিয়ে রাখলেন তিনি। রাফিনহাই ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন।


বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নীরজের রুপো


বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics Championships) ইতিহাস গড়লেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। প্রথম ভারতীয় পুরুষ অ্যাথলিট হিসেবে রুপো জিতলেন পানিপথের তরুণ। চতুর্থ প্রয়াসে এদিনের সেরা থ্রোটি করেন নীজর। ৮৮.১৩ মিটার দূরত্বে থ্রো করে রুপো নিশ্চিত করেন নীরজ। তবে সোনা জয় হল না এবার। হয়ত নিজের পারফরম্যান্সে একটু হতাশই হবেন তিনি। কারণ নব্বই মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে মরিয়া ছিলেন টোকিও অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী। যা সম্ভব হল না। ২০০৩ সালে অঞ্জু ববি জর্জের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে আবার পদক জয় ভারতের।


এদিন শুরুটা যদিও খুব একটা ভাল হয়নি নীরজের। তিনি নিজের প্রথম থ্রোটি ফাউল করেন এদিন। সেখানে গ্রেনাডার জ্যাভলিন থ্রোয়ার অ্যান্ডারসন পিটারস ৯০.২১ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়ে নিজের পদক একপ্রকার নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় সুযোগে নীরজ যথাক্রমে ৮২.৩৯ ও ৮৬.৩৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন। চতুর্থ পদক্ষেপে ৮৮.১৩ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়ে নিজের রুপো নিশ্চিত করেন নীরজ। তবে এদিন ২ বার ফাউল থ্রো করেছিলেন এই তরুণ। নিজের সেরা থ্রো ৯০.৫৪ মিটার ছুড়ে সোনা নিশ্চিত করেন পিটারস। চেক প্রজাতন্ত্রের ইয়াকুব ভালদেজ ৮৮.০৯ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে ব্রোঞ্জ জেতেন।এদিন ভারতের আরেক জ্যাভলিন থ্রোয়ার রোহিত যাদবও ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু প্রথম তিনটি থ্রোয়ের পরই ছিটকে যান তিনি। 


আরও পড়ুন: গোড়ালির চোট, পা ফুলে ঢোল, মাঠে নেমেই বিশ্বকাপে নজির নেহরার