কলকাতা: হং কংকে ৪০ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিল ভারত। দুরন্ত ব্যাটিং সূর্যকুমার যাদবের। ছন্দে ফিরলেন বিরাট কোহলি। খেলার দুনিয়ার সারাদিনের সব খবর এক ঝলকে।
সহজ জয়
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে হং কংয়ের বিরুদ্ধে ৪০ রানে বিশাল জয় পেল টিম ইন্ডিয়া (Ind vs Honk Kong)। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিলেন রোহিত শর্মারা। পাকিস্তান বনাম হং কং ম্যাচ থেকে এবার নির্ধারিত হবে, গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে কারা সুপার ফোরে পৌঁছবে।
বুধবার হং কংকে ৪০ রানে হারাল ভারত (Team India)। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৯২/২। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় হং কং। এরপর তিন নম্বরে নেমে লড়াই চালিয়েছিলেন বাবর হায়াত। ৩৫ বলে ৪১ রান করেন তিনি। চার নম্বরে নেমে ২৮ বলে ৩০ রান করেন কিঞ্চিৎ শাহ। তবে হং কংয়ের বাকি ব্যাটাররা কেউই রান পাননি। শেষ দিকে জিশান আলি ১৭ বলে অপরাজিত ২৬ রান ও স্কট ম্যাকেশনি ৮ বলে অপরাজিত ১৬ রান করলেও, শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫২/৫ স্কোরে আটকে যায় হং কং। ভারত ৪০ রানে ম্যাচ জেতে। একপেশে ভাবেই।
বিরাট রেকর্ড
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে (T20 Internationals) নতুন কীর্তি গড়লেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ধরে ফেললেন সতীর্থ রোহিত শর্মাকে। কীভাবে?
তিনি ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও বড় রান পাননি। মানসিকভাবে যে চাপে রয়েছেন, তা বিরাট কোহলির (Virat Kohli) একাধিক কথাবার্তায় প্রতিফলিত হচ্ছিল। বুধবার এশিয়া কাপ -এ হং কংয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য জ্বলে উঠল কোহলির ব্যাট। ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন। ধরে ফেললেন রোহিত শর্মাকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক হাফসেঞ্চুরি করার নিরিখে। কোহলির মোট ৩১টি হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল। সমসংখ্যক হাফসেঞ্চুরি রয়েছে রোহিতেরও। তাঁদের পরে রয়েছেন বাবর আজম (Babar Azam)। পাকিস্তানের তারকার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৭টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।
আত্মবিশ্বাসী ডিকে
গত আইপিএল (IPL) থেকে যেন তাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে। জাতীয় দলে ফিরেছেন। ৩৭ পেরিয়ে যাওয়া বয়সেও টি-টোয়েন্টিতে ভারতের প্রথম একাদশে জায়গা করে নিচ্ছেন। তাও ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) জায়গায়। যে পন্থকে ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসাবে চিহ্নিত করছেন অনেকে।
কোন মন্ত্রে ক্রিকেট কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে এত বিপজ্জনক ব্যাটার হয়ে উঠলেন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)? এ ব্যাপারে মুখ খুললেন ডিকে নিজেই। এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বুধবার ভারত বনাম হং কং ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে কার্তিক জানিয়েছেন, তিনি এখন আর আউট হওয়ার ভয় পান না। প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক ব্য়াটিংয়ের স্বাধীনতা রয়েছে।
ডিকে বলেছেন, 'মাঝের সারির ব্যাটারদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ব্যাটার হিসাবে ক্রিজে গিয়ে আমি ডট বল খেলতে চাই না। তার মানে যদি এই হয় যে প্রথম বল থেকেই বড় শট খেলতে হবে তবে তার জন্য আমি প্রস্তুত। উইকেট হারালাম কি না গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার দল আমার কাছে কী চাইছে বা ব্যাটিং পার্টনার কী চাইছে। আমি স্পষ্ট কথা বলে নেওয়ায় বিশ্বাস করি।'
জাপান ওপেনের আপডেট
গত সপ্তাহে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে হতাশাজনকভাবে শুরুর দিকেই ছিটকে গিয়েছিলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত (Kidambi Srikanth)। তবে জাপান ওপেনে (Japan Open) দুরন্ত ছন্দে দেখাল বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর শাটলারকে। বিশ্বের চার নম্বর লি জি জিয়াকে স্ট্রেট গেমে পরাস্ত করলেন ভারতীয় তারকা। তবে শ্রীকান্তের সাফল্যের দিনেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন দুই তারকা ভারতীয় শাটলার সাইনা নেহওয়াল এবং কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী লক্ষ্য সেন।
ক্রিকেটপ্রেমী
প্রথমে শ্রীলঙ্কা। তারপর বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে (Asia Cup) পরপর দুই ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে আফগানিস্তান। এরই মাঝে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও।
গুলপারি শাফি। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের সমর্থক এই বৃদ্ধা। প্রিয় দল আফগানিস্তানকে সমর্থন করতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি চলে এসেছিলেন মাঠে।
গুলপারি ছয় বছর ধরে ভুগছেন মরণ ক্যান্সারে। ম্যাচের দিন সকালে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে কেমোথেরাপি হয় তাঁর। শারীরিক অক্ষমতা, ক্লান্তি, অসুস্থতা, সব বাধা জয় করে তিনি মাঠে প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে চলে আসেন।
গুলপারির সঙ্গে মাঠে এসেছিলেন পুত্র খাইবার। তাঁরা থাকেন আজমান শহরে। আফগানিস্তান-বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কথা খাইবার যখন বলেছিলেন, তখন তাঁর মা বলেন, ‘চল, খেলা দেখে আসি।’ মায়ের ইচ্ছেপূরণ করতে ছেলে দ্রুতই গাড়ি নিয়ে শারজায় চলে আসেন। অসুস্থ মায়ের যাতে কষ্ট না হয়, সেই কারণে ভিআইপি বক্সের টিকিট কাটেন। হুইলচেয়ারে বসে খেলা দেখেছেন শাফি।
আরও পড়ুন: সামনে শুধু শাকিব, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক হলেন রশিদ