কলকাতা: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে গেল ভারত। নো বল নিয়ে বিরক্ত হার্দিক পাণ্ড্য। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


হারের ময়নাতদন্ত


ভারতীয় সমর্থকেরা মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রিয় দলের ম্যাচ ও সিরিজ জয় দেখবেন, সেই আশায়। আশা পূরণ তো হলই না, উল্টে সিরিজ হাতছাড়াও হতে পারে, এরকম আশঙ্কাও তৈরি হয়ে রইল।


পুণেতে শ্রীলঙ্কার (Ind vs SL) কাছে ১৬ রানে পরাজয়ের পর হারের কারণ অনুসন্ধানে বসে পড়লেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। যাঁর কাঁধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। ম্যাচের পর হার্দিক বলেছেন, 'বোলিং ও ব্যাটিং, দুইয়েই পাওয়ার প্লে ভুগিয়েছে আমাদের।'


শ্রীলঙ্কা ব্যাট করার সময় পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তোলে। তখনই বোঝা গিয়েছিল যে, বড় স্কোর তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। শেষে দুশো পেরিয়ে যায় দাসুন শনাকাদের স্কোর। পরে ভারত ব্যাট করার সময় ভারত পাওয়ার প্লে-তে ৩৯/৪ হয়ে যায়। তখনই ম্যাচ কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে।


হার্দিক আরও বলেছেন, 'আমরা প্রাথমিক ব্যাপারগুলো ভুল করেছি। যেটা এই পর্বে চলে না। প্রাথমিক ব্য়াপারগুলো নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। একটা দিন খারাপ যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে প্রাথমিক ব্যাপারগুলোয় ভুল কেন হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে এগুলো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।'


শ্রীলঙ্কার জয়


ওয়াংখেড়ের পর এমসিএ স্টেডিয়াম। মুম্বইয়ের পর পুণে। ফের ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা (Ind vs SL) টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস পরিণতি। মুম্বইয়ে সিরিজের প্রথম ম্য়াচ মাত্র ২ রানে জিতেছিল ভারত। বৃহস্পতিবার পুণের গাহুঞ্জেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামে লড়াই করেও ১৬ রানে হার ভারতের। সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা।


শ্রীলঙ্কার ২০৬/৬ স্কোর তাড়া করতে নেমে ৯.১ ওভারে ভারতের রান ছিল ৫৭/৫। ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছেন ঈশান কিষাণ, শুভমন গিল, রাহুল ত্রিপাঠি, হার্দিক পাণ্ড্য ও আগের ম্য়াচের নায়ক দীপক হুডা। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে, একপেশেভাবে ম্যাচ হারবে ভারত। তবে অন্যরকম ভেবেছিলেন অক্ষর পটেল ও সূর্যকুমার যাদব। সূর্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে সাড়া জাগানো নাম। উইকেটের চারপাশে শট খেলতে পারেন বলে তাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছে মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি। ৩৬ বলে ৫১ রান করলেন এদিন।


তবে তাঁর চেয়েও বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন অক্ষর পটেল। ৩১ বলে ৬৫ রান করে তিনি ভারতকে জেতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সূর্যকুমার আউট হওয়ার পরে শিবম মাভিও। ১৫ বলে ২৬ রান করেন তিনি। তবে শেষরক্ষা করতে ব্যর্থ ভারত। ১৯০/৮ স্কোরে আটকে গেল ভারত। ১৬ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।


ফের ভারত-পাক


২২ গজে ফের ভারত-পাক দ্বৈরথ। চলতি বছরই রয়েছে এশিয়া কাপ। আর সেই টুর্নামেন্টেই ফের একবার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব জয় শাহ বৃহস্পতিবার এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন। আগামী সেপ্টেম্বরে বসতে চলেছে এশিয়া কাপের আসর। সেখানেই ফের দেখা মিলবে রোহিত-বাবর দ্বৈরথের। 


বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মহারণ মানা হয় ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথকে। এদিন ২০২৩-২৪ সালের ক্রিকেটের যে ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ রয়েছে। তার পরের মাসেই রয়েছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। যা ভারতেই হওয়া উচিত। সেই টুর্নামেন্টে ভারত-পাক ম্যাচ হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত না হলেও এশিয়া কাপে যে এই দুই দল আমনে সামনে হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। গ্রুপ-এ তে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে কোয়ালিফায়ার ১। দ্বিতীয় গ্রুপে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান।


ড্র না জয়?


বাংলার সরাসরি জয়ের স্বপ্ন জোরাল ধাক্কা খেয়েছে। উত্তরাখণ্ডকে ৪৮/৬ করে দিয়েও ফলো অন করানো যায়নি। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) উত্তরাখণ্ডের ল্যাজের ঝাপ্টায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলা (Bengal vs Uttarakhand)। বাংলার ৩৮৭ রানের জবাবে ২৭২ রান তুলে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে উত্তরাখণ্ড। তার পরেও সরাসরি জয়ের মরিয়া অঙ্ক কষছে বাংলা শিবির।


দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দেহরাদূনে অভিমন্যু ঈশ্বরণের নামাঙ্কিত অ্যাকাডেমির মাঠে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৪৮/১। উত্তরাখণ্ডের চেয়ে ১৬৩ রানে এগিয়ে বাংলা। শুক্রবার, ম্যাচের শেষ দিন নাটকের অপেক্ষায় বাংলা শিবির। দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল দেহরাদূন থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে বললেন, 'আমরা জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। শেষ দিন আরও ১৪০ রান দ্রুত যোগ করাই লক্ষ্য। সব মিলিয়ে তিনশো রানের লক্ষ্য দিয়ে উত্তরাখণ্ডকে ব্যাটিং করাতে চাই। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলব। আমাদের পরিকল্পনা লাঞ্চ পর্যন্ত প্রথম সেশনে যতটা দ্রুত সম্ভব রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করা। তারপর বাকি দুই সেশনে ওদের ১০ উইকেট তোলার জন্য ঝাঁপানো।'


হাসপাতালে ঊর্বশী


গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালের বেডে জায়গা হয়েছে ঋষভ পন্থের। গোটা দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ এমনকী দেশের বাইরেও ঋষভের অসংখ্য অনুরাগী তাঁর আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করছেন। সেই তালিকায় অবশ্যই রয়েছেন বলি ডিভা উর্বশী রাউতেলাও। ঋষভ পন্থ ও উর্বশী রাউতেলার (Urvashi Rautela) সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। অতীতে বহুবার তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। পন্থের দুর্ঘটনার পরে উর্বশী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টও করেছিলেন। এবার পন্থের আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করার অনুরোধ করলেন উর্বশীর মা মীরাও। এবার পন্থকে দেখতে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে চলে গেলেন উর্বশী। না তেমন কোনও ছবি প্রকাশ্যে না এলেও উর্বশীর ইনস্টাগ্রাম স্ট্যাটাস তেমনই জানান দিচ্ছেন।