কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল। রাজকোটে (Rajkot Test) খেলতে পারবেন না কে এল রাহুল (KL Rahul)। ইস্টবেঙ্গল এফসি-র (East Bengal FC) সামনে মুম্বই সিটি এফসি। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


ছিটকে গেলেন রাহুল


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজকোটে আয়োজিত তৃতীয় টেস্ট (IND vs ENG 3rd Test) থেকে ছিটকে গেলেন তারকা ক্রিকেটার কে এল রাহুল (KL Rahul)। তাঁর বদলে ভারতীয় দলে ডাক পেলেন তাঁর কর্ণাটক তথা লখনউ সুপার জায়ান্টস সতীর্থ দেবদত্ত পাড়িক্কাল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) তরফে সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি রাহুলের ছিটকে যাওয়ার খবর সুনিশ্চিত করা হয়।


বোর্ডের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'কেএল রাহুলের তৃতীয় টেস্টে অংশগ্রহণ তাঁর ফিটনেসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাজকোটে আয়োজিত তৃতীয় টেস্ট থেকে তিনি ছিটকে গেলেন। বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল দলের তত্ত্বাবধানে রাহুল ভালভাবেই পুরো ফিট হওয়ার দিকে এগোচ্ছেন। তবে তিনি আপাতত ৯০ শতাংশ ফিট। চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টের জন্য সম্পূর্ণ ফিট হওয়ার জন্য ওঁ বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে নিজের ফিট হওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন।'


কেরলের কাছেও হার


বছর যায়। বছর আসে। কোচ পাল্টায়। অধিনায়কের নাম বদলে বদলে যায়। পাল্টায় না শুধু রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) বাংলার (Bengal Cricket Team) ব্যর্থতার ছবি। এবারও বহাল থাকল সেই ছবি। কেরলের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ১০৯ রানে হেরে গেল বাংলা। সেই কেরল, যারা গ্রুপে এর আগের পাঁচটি ম্যাচের কোনওটিতে জিততে পারেনি। সেই সঙ্গে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল।


তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৭৭/২। ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran)। সোমবার, ম্যাচের শেষ দিন জেতার জন্য ৩৭২ রান দরকার ছিল বাংলার। বঙ্গ ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করেছিলেন, মরিয়া একটা প্রয়াস অন্তত দেখা যাবে। কোথায় কী! ৩৩৯ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলা।


কেরলের কাছে পরাজয়ের পর গ্রুপ বি-তে বিহারের বিরুদ্ধে বাংলার শেষ ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল। ৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ৪১ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। তাদের সঙ্গেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশ। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৫। শেষ ম্যাচে হারলেও তাদের পয়েন্ট পেরিয়ে যাওয়ার জায়গায় নেই অন্য কোনও দল। কেরলের ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। তারাই তালিকায় তিনে উঠে এল। তবে শেষ ম্যাচে বোনাস পয়েন্ট সহ জিতলেও ২১-এ আটকে যাবেন সঞ্জু স্যামসনরা। বাংলা এখন ছত্তীসগঢ় (৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট), উত্তর প্রদেশেরও (৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট) নীচে। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল মনোজদের। গ্রুপে ৬ নম্বরে বাংলা।


লাল-হলুদের পরীক্ষা


টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হার মানতে হয়েছিল আগের ম্যাচে। সেই ম্যাচের তিন দিন পরেই ফের মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। প্রতিপক্ষ গতবারের লিগশিল্ড চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি (ISL), যারা শুরুতে টানা অপরাজিত থাকলেও ইদানীং দলের একাধিক তারকা চলে যাওয়ার ফলে সমস্যার মধ্যে রয়েছে।

তবু মুম্বই সিটি এফসি এমন একটা দল, যারা যে কোনও ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। অতীতে যার উদাহরণ বহুবার দিয়েছে তারা। ইস্টবেঙ্গলেরও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই এই ম্যাচে। কিন্তু এই ম্যাচের প্রস্তুতি ঠিকভাবে নিতে না পারায় আত্মবিশ্বাসের কিছুটা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করছেন কোচ। গত ম্যাচে যাঁরা খেলেছেন, তাঁদেরও অনেককে এই ম্যাচে খেলাতে পারবেন না। কারণ, তাঁরা গত ম্যাচের ক্লান্তি এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই রোটেশন পদ্ধতি অবলম্বন করে এই ম্যাচের জন্য প্রথম এগারো বাছবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন কুয়াদ্রাত।


গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু


মাত্র চার মাস আগেই যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় গড়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড। সেই স্প্রিন্টার কেলভিন কিপটাম (Kelvin Kiptum) আর নেই। গাড়ি দুর্ঘটনায় মাত্র ২৪ বছর বয়সেই থেমে গেল কেনিয়ান স্প্রিন্টারের জীবনের দৌড়। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার কেনিয়ায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারকা স্প্রিন্টার। তাঁর পাশাপাশি গাড়িতে উপস্থিত তাঁর কোচ জারভাইস হাকিজিমানাও (Gervais Hakizimana) পরলোক গমন করেন। তারকা স্প্রিন্টারের এত অল্প বয়সে জীবনাবসানের ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রীড়ামহলে শোকের ছায়া।


মাঠেই বজ্রাঘাত


ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) আয়োজিত এক ম্যাচের আগের এক ঘটনা গোটা ফুটবলবিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মাঠের মাঝেই মৃত্যু হল এক ফুটবলারের। তাঁর নাম সেপ্টেন রাহারজা (Septain Raharja)।


ঘটনাটি ঘটে শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি। ২ এফএলও এফসি বানডুং এবং এফবিআই সুবাংয়ের মধ্যে পশ্চিম জাভার বানদুংয়ের সিলিওয়াঙ্গি স্টেডিয়ামে এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। সেই ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে অনুশীলন সারছিলেন ফুটবলাররা। ঠিক সেইসময়ই সেপ্টেনের ওপর ব্রজবিদুৎ পরে। খবর অনুযায়ী, এরপরেও সেপ্টেন বেঁচে ছিলেন বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তাঁকে এই ঘটনার পরে তড়িঘড়ি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।   


ঈশানকে নিয়ে অসন্তোষ


বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। ভারতীয় দল থেকে তাঁর বাইরে থাকা এবং সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন নিয়ে কম কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে না। গোটা বিষয় নিয়ে ভারতীয় বোর্ডও (BCCI) বেশ রুষ্ট এবং দ্রুতই বোর্ডের তরফে এক নোটিস দেওয়া হতে পারে যার দরুণ খেলোয়াড়রা রঞ্জি ট্রফি খেলতে বাধ্য হন।


গত নভেম্বর মাস থেকে ঈশান ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) বাইরে রয়েছেন। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যজনিত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। ঈশানের দলে না থাকা এবং প্রত্যাবর্তন ঘিরে বারংবার ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টের পরেও রাহুল দ্রাবিড়কে ঈশানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে তারকা কিপার-ব্যাটারকে অন্তত কিছু ম্যাচ খেলতে হবে, তারপরেই তিনি জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারবেন।


ঈশান তাঁর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যর সঙ্গে অনুশীলন সারছেন বলে সম্প্রতি একাধিক রিপোর্ট দাবি করা হয়। তবে ঈশান কিষাণ ঝাড়খণ্ডের হয়ে রঞ্জি ম্যাচ খেলার জন্য আগ্রহ দেখাননি। গোটা ঘটনায় বিরক্ত বিসিসিআই এবার এক নোটিস জারি করতে চলেছে বলে খবর। সেই নোটিস অনুযায়ী আহত নন, এমন সকল ক্রিকেটারের রঞ্জি ট্রফিতে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। সেই ব়িপোর্টেই দাবি করা হয়েছে কয়েকজন ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই 'আইপিএল মোড'-এ চলে গিয়েছেন, যা বোর্ড একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না।