কলকাতা: ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে নন্দ কুমারের গোলে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মালয়েশিয়াকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Asian Champions Trophy) জিতল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


ইস্টবেঙ্গলের জয়


নন্দকুমারের বিশ্বমানের গোলে চার বছর পর ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের। বিশ্বমানের গোল করে দলকে জেতালেন নন্দকুমার। খেলার প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় দুরন্ত গোল করেন চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করা ২৭ বছরের তরুণ ফুটবলার। মূলত তাঁর গোলেই প্রায় ১৬৬৬ দিন পরে ডার্বিতে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল শিবির। শেষবার ২০১৯ সালে ডার্বি জিতেছিল লাল হলুদ শিবির। 


হকিতে ভারতের ট্রফি


এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির (Asian Champions Trophy Hockey) ফাইনালে ভারত বনাম মালয়েশিয়া ম্যাচের পাল্লা যেভাবে একবার এই শিবিরের দিকে ঝুঁকল তো পরক্ষণেই অন্য শিবিরের দিকে, তাতে শেষ মিনিট পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না যে, কারা হাসবে শেষ হাসি। যে ম্যাচে ৯ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। তারপর ৩ গোল হজম করে বসেছিল। ৪৪ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে কার্যত আর খুঁজেই পাওয়া যায়নি ভারতকে। ম্যাচের স্কোর তখন মালয়েশিয়ার পক্ষে ৩-১। সকলে ধরেই নিয়েছেন যে রানার আপ ট্রফি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ঘরের দলকে। হারতে হবে এমন এক দলের কাছে, যাদের গ্রুপ পর্বে ৫ গোল মেরেছিল ভারত।


কিন্তু অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহ। এক মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল। ৪৪ মিনিটে একটি হরমনপ্রীত নিজে করলেন পেনাল্টি কর্নার থেকে। দ্বিতীয় গোলটি করালেন পরক্ষণেই। তাঁর পাস ধরেই গোল গুরজন্ত সিংহের। ৪৫ মিনিটে ম্যাচ ৩-৩। ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর সেই শুরু।


৫৬ মিনিটে আকাশদীপ সিংহের গোল। ভারত এগিয়ে গেল ৪-৩ ব্যবধানে। স্বস্তি ফিরল ভারতীয় শিবিরে। সেই ব্যবধান আর ঘোচাতে পারেনি মালয়েশিয়া। শেষ ৪ মিনিট ভারতের রক্ষণে আর দাঁতই ফোটাতে পারেনি মালয়েশিয়া। যারা সেমিফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়েছিল। শনিবারও ভারতীয় শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন হরমনপ্রীত সিংহরাই।


টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা


প্রশ্ন ছিল ফর্ম নিয়ে। উত্তর এল ব্যাটে। একদিকে শুভমন গিল। অন্যদিকে যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। ভারতের দুই ওপেনারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে টি ২০ সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। ফ্লোরিডায় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৯ উইকেটে জিতল ভারত। যার সুবাদে সিরিজ আপাতত ২-২। 


সাই হোপ ও শিমরন হেটমায়ারের দুরন্ত জোড়া ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস খাড়া করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের দাপটে সহজেই যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। ওপেনিং জুটিতে ১৬৫ রানের চোখ ধাঁধানো পার্টনারশিপ জুড়লেন যশস্বী-শুভমন। দুজনেই হাঁকালেন অর্ধশতরান। ৪৭ বলে ৩ টি চার ও ৫ টি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন শুভমন গিল (Subhman Gill)। যদিও দলকে জয়ের চৌকাঠে পৌঁছে দেন যশস্বী। ৫১ বলে ১১ টি চার ও ৩ টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৮৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন যশস্বী।


কৈফিয়ৎ কোহলির


কানাঘুষো অনেক দিন থেকেই ছিল। বলা হতো, বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ইনস্টাগ্রামে একটা পোস্ট থেকেই এমন বিশাল অঙ্কের অর্থ রোজগার করেন যে, চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে। 


শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শিডিউলিং টুল হুপার এইচকিউ ইনস্টাগ্রামে সর্বাধিক উপার্জনকারী সেলিব্রিটিদের নাম এবং আয় প্রকাশ করার পরই। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের জন্য ১১.৪৫ কোটি টাকা রোজগার করেন বিরাট কোহলি, দাবি করেছিল ওই সংস্থা। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা। ইনস্টাগ্রামে কোহলির ফলোয়ার্স সংখ্যা ২৫৬ মিলিয়ন। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ফলোয়ার্স সংখ্যায় লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পিছনে রয়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা এশিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে রয়েছেন একমাত্র কোহলি।


ইনস্টাগ্রাম থেকে কোহলির উপার্জনের অঙ্কটা জানাজানি হতেই সকলের চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। যদিও এই তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। শনিবার, ১২ অগাস্ট একটি এক্স করে কোহলি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন যে, ইনস্টা থেকে তাঁর উপার্জন সংক্রান্ত খবরটি একেবারেই সঠিক নয়।


বায়ার্ন মিউনিখে হ্যারি কেন


অবশেষে জল্পনাই সত্যি হল। টটেনহ্যাম হটস্পারকে (Tottenham Hotspur) বিদায় জানালেন হ্যারি কেন (Harry Kane)। ইংল্যান্ড ফুটবল দলের অধিনায়কের বর্তমান আস্তানা বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাব (Bayern Munich Club)। জার্মান ক্লাবের হয়েই নতুন মরসুম থেকে খেলতে নামবেন তারকা এই ব্রিটিশ ফুটবলার। প্রায় ১১ কোটি ইউরোতে টটেনহ্যামের সঙ্গে ১৯ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে আগামী চার বছরের জন্য বায়ার্নে যোগ দিলেন কেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন ব্রিটিশ ফুটবলার। ক্লাবের তরফেও জানানো হয়েছে। পুরনো ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রসঙ্গে হ্যারি লেখেন, ''প্রায় ২০ বছর যে ক্লাবের সঙ্গে ছিলাম, সেটা ছেড়ে আসা সহজ নয়। ১১ বছরের বাচ্চা ছেলে থেকে ওই ক্লাবই আমাকে ৩০ বছরে যুবক করেছে।" উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে প্রথমবার টটেনহ্যামে যোগ দিয়েছিলেন এই তারকা স্ট্রাইকার।