কলকাতা: আইএসএলে (ISL) টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। রবিরার বেঙ্গালুরুতে ভারত বনমা অস্ট্রেলিয়া পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


কষ্টার্জিত জয়


আইএসএলে (ISL) মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giant) জয়রথ ছুটছে। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল সবুজ-মেরুন শিবির।


শনিবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রতিপক্ষ ছিল লিগ টেবিলের লাস্ট বয় হায়দরাবাদ এফসি। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে যারা ৭ ম্যাচের একটাও জেতেনি। পয়েন্ট ছিল মাত্র ৩। কিন্তু শনিবার আইএসএলের লাস্ট বয়ের বিরুদ্ধে বেশ কষ্টার্জিত জয় এল বাগানে। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গোল করার জন্য সবুজ-মেরুন শিবিরকে অপেক্ষা করতে হল ৮৫ মিনিট পর্যন্ত।


৮৫ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোলটি করলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। সাহাল আব্দুল সামাদের অনবদ্য পাস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশ করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন হ্যামিল। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ব্যবধান বাড়ান আশিস রাই। মোহনবাগান শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতে ২-০ গোলে।


রবিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া


সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে রানের ফোয়ারা। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে যেন ব্যাট-বলের কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ লড়াই। তবে রায়পুরে সেই ম্যাচেই ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। রবিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তাই নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে ফের চার-ছক্কার ঝড় ওঠার সম্ভাবনা।


রায়পুরে ম্যাচ খেলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের মাঠে নামতে হচ্ছে দুই দলকেই। ভারতীয় দল এই সিরিজে কার্যত বিশ্বকাপে খেলা সমস্ত ক্রিকেটারদেরই বিশ্রাম দিয়েছে। একমাত্র সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) রয়েছেন। আর শেষ দুই ম্যাচে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। হার্দিক পাণ্ড্য ছিটকে যাওয়ার পর যিনি ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন, সেউ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার - ট্র্যাভিস হেড, তনবীর সঙ্ঘা ও ম্যাথু শর্ট বিশ্বকাপের শুরু থেকে ভারতেই রয়েছেন। বাড়ি ফেরার জন্য তাঁরা যে ছটফট করবেন, বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বজয়ের সেলিব্রেশনই তো অপূর্ণ থেকে গিয়েছে। 


চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত ১৯ জন ক্রিকেটারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যাতে টানা খেলার ধকল থেকে ক্রিকেটারদের রক্ষা করা যায়। রায়পুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তারা একসঙ্গে পাঁচটি পরিবর্তন করেছিল। তবু তা ফলপ্রসূ হয়নি। সিরিজে সমতা ফেরাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বরং ভারত ৩-১ করে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় চিন্তা ভারতের স্পিন ফলা - রবি বিষ্ণোই ও অক্ষর পটেলকে খেলা। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ভোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে।


শীতলের কীর্তি


তার বয়স মাত্র ১৬। অথচ তার জীবনের ওপর লেখা হয়ে গিয়েছে আস্ত একটি বই!


শীতল দেবী (Sheetal Devi)। এশিয়ান প্যারা গেমসে (Hangzhou Asian Para Games 2023) সবার নজর কেড়ে নিয়েছিল শীতল দেবী। শুধু দুটি সোনা ও একটি রুপো জেতার জন্য নয়। বরং অসাধ্য সাধনের জন্য। লড়াকু মনোভাব ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জন্য। সেই ইচ্ছাশক্তিকে মূলধন করেই তিরন্দাজিতে (Armless Archery) বিশ্বের সেরার সিংহাসন ছিনিয়ে নিয়েছে। বিশ্বের এক নম্বর এখন ভারতের ষোড়শী শীতল।


শুনলে অবাক হতে হবে যে, শীতলের দুটি হাত নেই। তবে তাতেও অদম্য! মনের জোরকে সঙ্গী করে নজির গড়ল। পা দিয়ে তির ছুড়েই অসাধ্য সাধন।


ভারতের (India) এই মহিলা অ্যাথলিটের দুই হাতই নেই। প্রতিভা থাকলে শীতলের মতো অ্যাথলিটকে আটকে রাখা যে খুব কঠিন, সেটা ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে শীতল হল প্রথম অ্যাথলিট, যে দুটি হাত ছাড়াই তিরন্দাজিতে তিনটি পদক জিতল।


রিঙ্কুর সাফল্যের রহস্য


কী করে এত বড় ছক্কা মারেন রিঙ্কু? উত্তর প্রদেশের তারকা নিজেই সেটা ফাঁস করলেন। রায়পুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম উইকেটে ঝোড়ো ৫৬ রান যোগ করেন রিঙ্কু ও জিতেশ শর্মা। জিতেশ ম্যাচের পর স্বীকার করে নেন যে, রিঙ্কুর আগ্রাসী ব্যাটিং তাঁর ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছিল।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটের হয়ে রিঙ্কুর সঙ্গে কথা বলেন জিতেশ। ম্যাচের শেষে জিতেশই রিঙ্কুর কাছে জানতে চান, কীভাবে এত বড় ছক্কা মারেন রিঙ্কু? তাতে কেকেআর তারকা বলেন, 'আমি ওজন তুলতে পছন্দ করি। তার থেকেই আমি আরও শক্তিশালী হয়েছি।'


রোনাল্ডোকে বিদ্রুপ


বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার কে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) নাকি লিওনেল মেসি (Lionel Messi), একটা সময় তা নিয়ে চায়ের ঠেকে তুফান উঠত। পর্তুগালের হয়ে রোনাল্ডো ইউরো কাপ জেতার পর সকলেই সিআরসেভেন-কে এগিয়ে রেখেছিলেন। তবে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ জেতার পর যেন অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছেন মেসি। রোনাল্ডো যেন ফিনিশিং লাইনে গিয়ে পিছিয়ে পড়েছেন। মেসি ভক্তরা সাফ বলে দেন, রোনাল্ডোর সাফল্যের ঝুলিতে তো বিশ্বকাপই নেই। তাহলে কীসের আর সর্বশ্রেষ্ঠ তারকা?


কিন্তু পর্তুগিজ মহাতারকা কি ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিলেন যে, ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেও তাঁকে মেসির নামের জয়োধ্বনি শুনতে হবে?


রিয়াধ ডার্বিতে নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রের ক্লাব আল-হিলালের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল রোনাল্ডোর আল নাসর। ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছেন রোনাল্ডোরা। বিরতির সময় মাঠ ছাড়ছিলেন সি আর সেভেন। সেই সময়ই গ্যালারি থেকে উড়ে আসে মেসির নাম ধরে স্লোগান।                            


এই ম্যাচে গোল না পেলেও সৌদি লিগে এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনাল্ডো। প্রাক্তনরা বলছেন, তিনি এখন পরিণত। তাই দল হারলেও রোনাল্ডোর মুখে লেগেছিল হাসি। উত্তেজনার ম্যাচে দেখা যায় সতীর্থদের আগলাচ্ছেন রোনাল্ডো। মেসির নামে জয়োধ্বনি শুনেও মেজাজ হারাননি রোনাল্ডো। বরং সেই মেসি ভক্তদের দিকে চুমু ছুড়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন সি আর সেভেন।