কলকাতা: ধর্মশালা টেস্টে আড়ই দিনে জয় ভারতের। সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিল রোহিত বাহিনী। অ্য়ান্ডারসনের ৭০০ টেস্ট উইকেট। বিসিসিআইয়ের বড় সিদ্ধান্ত। আজ আইএসএলে ডার্বি। দেখে নিন দিনের সেরা খেলার খবরের এক ঝলক -


ধর্মশালায় ব্রিটিশ বধ


পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে যেন অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাল রোহিত ব্রিগেড। ব্যাটিং থেকে বোলি- ধর্মশালায় যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল ভারত। সেই রেশই বজায় রইল তৃতীয় দিনে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংকে চুরমার করে এক ইনিংস এবং ৬৪ রানে বড় জয় টিম-ব্লু'র। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, জাদেজা, বুমরার পর পর অ্যাটাকে ধরাশায়ী স্টোকস শিবির। ফলে ৪-১ এ সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরল ভারত। ইনিংস ও ৬৪ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড ২১৮ রান বোর্ডে তোলে। জবাবে ভারত ৪৭৩ তুলেছিল প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৯৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। 


৭০০ শিকার অ্যান্ডারসনের


ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অ্যান্ডারসন এখনও পর্যন্ত ১৪৭টি উইকেট নিয়েছিলেন। বয়স ৪১ পার করলেও, তিনি এখনও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে নিজের দক্ষতা কিন্তু প্রতিনিয়তই প্রমাণ করে চলেছেন। ধর্মশালায় নয়া কৃতিত্বও গড়লেন তিনি। পর পর দুই উইকেট নিয়ে ৭০০ উইকেটের গণ্ডি ছুঁলেন এই পেসার। 


বাড়তি টাকা মিলবে টেস্ট খেললে!


এক মরশুমে একজন ক্রিকেটার যত বেশি টেস্ট খেলবেন, সেই হিসেবে বাড়তি ইনসেন্টিভও পাবেন তিনি। ম্য়াচ ফি ও কেন্দ্রীয় চুক্তির অর্থের বাইরে গিয়ে সেই টাকা বোর্ডের তরফ থেকে দেওয়া হবে। জয় শাহ-র পক্ষ থেকে যে ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে যে, এক বছরে যতগুলো টেস্ট ম্য়াচ খেলা হবে, তার ৭৫ শতাংশ ম্য়াচ যদি কোনও ক্রিকেটার খেলেন, তবে তাঁকে বাড়তি সাম্মানিক দেওয়া হবে। কোনও ক্রিকেটার যদি কোনও ক্রিকেটার যদি ৫০ শতাংশের কম ম্য়াচ খেলেন, তিনি সেই ইনসেন্টিভ পাবেন না। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম একাদশে থাকলে ম্যাচ পিছু ৩০ লক্ষ টাকা এবং প্রথম একাদশে না থাকলে ম্যাচ পিছু ১৫ লক্ষ টাকা করে পাওয়া যাবে। বোর্ডের কোষাগার থেকে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।


আজ ডার্বি


বেজে গিয়েছে ডার্বির দামামা। তাই সারা বাংলা এখন দু’ভাগে বিভক্ত। এক ভাগের রঙ লাল-হলুদ ও আর এক ভাগের রঙ সবুজ-মেরুন। ছুটির রাতে দু’পক্ষই হয়তো পাশাপাশি বসে দেখবে ডার্বির যুদ্ধ। কিন্তু খেলার শেষে একদলকে হাসতে দেখা যাবে ও আর এক পক্ষ ডুবে যাবে হতাশার কালো আঁধারে। কিন্তু সে নেহাতই সাময়িক। সব আনন্দ-হতাশার পর দুই পক্ষই ফের পরবর্তী ডার্বির জন্য কোমর বাঁধা শুরু করবে। এর নামই ‘বড় ম্যাচ’।  


রবিবার রাতে কাদের মুখে জয়ের হাসি দেখা যাবে, সে তো সময়ই বলবে। কিন্তু চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগ এমনই এক আকর্ষণীয় পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়ে যে, ফিরতি ডার্বিতে নামার আগেই প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলল মোহনবাগান এসজি। শনিবার রাতে হায়দরাবাদ এফসি-র প্রথম জয়ের ফলে টানা চতুর্থবার প্লে অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল সবুজ-মেরুন বাহিনী। এ দিন চেন্নাইন এফসি-কে ১-০-য় হারানোর ফলে লিগ টেবলের যা অবস্থা দাঁড়াল, তাতে লিগ টেবলে পাঁচ থেকে ১১ নম্বর দলের পক্ষে আর মোহনবাগানকে ছোঁয়া সম্ভব নয়।