কলকাতা: এজবাস্টন টেস্টে চালকের আসনে ভারত। কলকাতায় ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত হলেন কিংবদন্তি পুল্লেলা গোপীচন্দ। বাংলা ছাড়লেন ঋদ্ধিমান সাহা। খেলার দুনিয়ার সারাদিনের সব খবর এক ঝলকে।


টিম ইন্ডিয়ার দাপট


টেস্ট ম্যাচের রোমাঞ্চ লুকিয়ে এই জায়গাতেই। যখন মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের রং পাল্টে যাবে। ঠিক যেরকম হচ্ছে এজবাস্টনে। ভারত-ইংল্যান্ড (Ind vs Eng) টেস্ট সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচে। যে ম্যাচের ওপর নির্ভর করে রয়েছে সিরিজের ভাগ্য।


শুক্রবার একটা সময় ভারতের প্রথম ইনিংসের স্কোর ছিল ৯৮/৫। সেখান থেকে ঋষভ পন্থের দুরন্ত সেঞ্চুরি ম্যাচে ফেরায় ভারতকে। যোগ্য সঙ্গত দেন রবীন্দ্র জাডেজাও (Ravindra Jadeja)। শনিবার টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি করলেন জাডেজাও। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ দিকে স্টুয়ার্ট ব্রডের (Stuart Broad) বলে রেকর্ড গড়ে এক ওভারে ২৯ রান তুলে ঝোড়ো ৩১ রান করেন যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। যিনি এই ম্যাচে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪১৬ রানে।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনের শেষে বেকায়দায় ইংল্যান্ড। ভারতীয় পেসারদের দাপটে ফিরে গিয়েছেন ইংল্যান্ডের ৫ ব্যাটার। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের স্কোর ৮৪/৫। জনি বেয়ারস্টো ১২ রানে ও অধিনায়র বেন স্টোকস কোনও রান না করে ক্রিজে রয়েছেন।


বুমরার কীর্তি


তিনি বল হাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ত্রাস। সেই যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) এবার ব্যাট হাতে এক অনন্য নজির গড়লেন। ভেঙে দিলেন কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার (Brian Lara) ১৮ বছরের পুরনো রেকর্ড।


এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের দ্বিতীয় দিন ইংরেজ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের (Stuart Broad) এক ওভারে ২৯ রান তুললেন বুমরা। যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত এক ওভারে ওঠা সর্বোচ্চ রান। এর আগে ব্রায়ান লারা ছিলেন এই রেকর্ডের মালিক। ২০০৩-০৪ মরসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার রবিন পিটারসেনের এক ওভারে ২৮ রান তুলেছিলেন লারা।


অস্ট্রেলিয়ার জর্জ বেইলিরও টেস্টে এক ওভারে ২৮ রান নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তবে লারার চেয়ে বাউন্ডারি কম মেরেছিলেন বলে তালিকায় তিনি তৃতীয়।


কলকাতায় গোপীচন্দ


খেলোয়াড় হিসাবে তিনি নিজে ছিলেন কিংবদন্তি। অবসরের পরও ব্যাডমিন্টন কোর্টকে ছাড়তে পারেননি। ভবিষ্যতের তারকা তৈরিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁর হাত ধরেই সাইনা নেহওয়াল (Saina Nehwal), পি ভি সিন্ধুর (PV Sindhu) উঠে আসা। সেই পুল্লেলা গোপীচন্দ (Pullela Gopichand) এবার যুক্ত হলেন বাংলার ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে। হরিনাভিতে স্টার ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির অন্যতম কোচ হিসাবে দায়িত্ব নিলেন। শনিবার অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে এসে খোলামেলা আড্ডা দিলেন এবিপি আনন্দের ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম এবিপি লাইভের সঙ্গে। বাংলার ব্যাডমিন্টন নিয়ে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের ভবিষ্যতের রোডম্যাপ, সাইনা-সিন্ধুর সাম্প্রতিক ফর্ম থেকে শুরু করে থোমাস কাপের সাফল্য, সব বিষয়েই অকপট গুরু গোপী।


বাংলা ছাড়লেন ঋদ্ধিমান


একাধিক রাজ্যের প্রস্তাব পেয়েছেন। শীঘ্রই সিএবি-তে গিয়ে লিখিত আবেদন দিয়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (No Objection Certificate) বা এনওসি চাইবেন বলে সম্প্রতি এবিপি লাইভকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। সেইমতো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা ছেড়েই দিলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। বাংলার হয়ে আর খেলবেন না তিনি। ছাড়পত্র নিতে এলেন সিএবি-তে। ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিএবি-র যুগ্মসচিব । এতে আঘাত পেয়েছিলেন ঋদ্ধি, সে কারণেই বাংলা ত্যাগ বলে খবর সূত্রের।


আরও পড়ুন: সৌরভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যও পার করে দিল জাডেজার দুরন্ত সেঞ্চুরি