কলকাতা: ময়দানের সারাদিনের সব খবরের আপডেট দেখে নিন এক ঝলকে।
কোহলির করোনা?
গত বছর ভারত-ইংল্যান্ড (Ind vs Eng) পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল করোনার ধাক্কায়। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ভারত। অর্ধসমাপ্ত সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে ভারতীয় দল (Team India) পৌঁছে গিয়েছে ইংল্যান্ডে। কিন্তু ফের করোনার কাঁটায় বিদ্ধ সিরিজ। ভারতের তারকা অফস্পিনার আর অশ্বিনের (R Ashwin) করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। যে কারণে তিনি দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে যাননি। বুধবার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।
যদিও সূত্রের খবর, তিনি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। লেস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচেও মাঠে নামবেন বলে ভারতীয় দলের কোনও কোনও সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে।
বাটলারের রেকর্ড
স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন জস বাটলার (Jos Buttler)। আইপিএলে (IPL) দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসাবে তিনি জিতে নিয়েছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেছিলেন দিনকয়েক আগে। এবার নতুন এক কীর্তি গড়ে ফেললেন ইংরেজ তারকা।
জস বাটলার (Jos Buttler) ও জেসন রয় (Jason Roy) আবারও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডকে ডাচদের বিরুদ্ধে জেতালেন। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র ৩০.১ ওভারে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তুলে ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড। অর্থাৎ প্রায় ২০ ওভার খেলা বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। এদিনের ম্যাচে বাটলার করেন ৬৪ বলে অপরাজিত ৮৬ রান ও জেসন রয় করেন ৮৬ বলে অপরাজিত ১০১ রান। মাত্র এক রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন ফিল সল্ট। তবে জেসন রয় ও জস বাটলারের অবিচ্ছেদ্য শতরানের জুটিতে সহজে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। শুধু এই ম্যাচেই ইংল্যান্ড জেতেনি, ওয়ান ডে সিরিজ ৩-০ ব্যাবধানে জিতে নিয়েছেন বাটলাররা।
বুধবার একদিনের ক্রিকেটে নতুন এক মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন জস বাটলার। সব থেকে কম বল খেলে চার হাজার রান করলেন তিনি। টপকে গেলেন বীরেন্দ্র সহবাগ, শাহিদ আফ্রিদি, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে মাত্র ৩২৮১ বল খেলে চার হাজার রান করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। এই কীর্তি গড়ার ফলে তিনি সহবাগ,আফ্রিদি ও ওয়ার্নারদের অনেক পিছনে ফেললেন।
রঞ্জি ফাইনালের আপডেট
একটা দলের সম্পদ ৪১ বারের রঞ্জি ট্রফি খেতাব। অন্য দলের অস্ত্র কৌশলগত ধার। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালের প্রথম দিন মুম্বই বনাম মধ্যপ্রদেশের (Mumbai vs MP) দ্বৈরথের প্রথম দিন দেখা গেল দুই-ই। যেখানে শুরুটা দুর্দান্ত করলেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার - অধিনায়ক পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw) ও যশস্বী জয়সবাল (yashasvi jaiswal)। মুম্বই ইনিংসের ভিতটা মজবুত করলেন দুজনে। আর শেষ লগ্নে মুম্বই ইনিংসকে ধাক্কা দিয়ে ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন মধ্যপ্রদেশের বোলাররা। প্রথম দিনের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ২৪৮/৫।
চলতি রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে একতরফা দাপট দেখিয়েছে মুম্বই। যদিও খেতাবি লড়াইয়ে মধ্যপ্রদেশের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় ৪১ বারের চ্যাম্পিয়নদের। ফাইনালের প্রথম দিনের শুরুটা দুর্দান্ত করে মুম্বই। তবে দ্বিতীয় সেশনেই ম্যাচে ফেরে মধ্যপ্রদেশ। বাধ্য হয়েই নিতান্ত সতর্ক হয়ে তৃতীয় সেশন কাটিয়ে দিতে হয় মুম্বই ব্যাটারদের।
চিন্নাস্বামীতে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা দিনের প্রথম সেশনে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০৫ রান তোলে। লাঞ্চের আগে পৃথ্বী শ ব্যক্তিগত ৪৭ রানের মাথায় আউট হন। লাঞ্চের পরে লড়াইয়ে ফেরে মধ্যপ্রদেশ। তারা দ্বিতীয় সেশনে ৩টি উইকেট তুলে নেয়। যশস্বী জয়সবাল আউট হন ৭৮ রান করে। আরমান জাফর ড্রেসিংরুমে ফেরেন ২৬ রান করে। সুবেদ পার্কার ১৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। চায়ের বিরতিতে মুম্বইয়ের স্কোর ছিল ৪ উইকেট ২০১ রান।
কার্তিকের কামাল
আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, এখনও ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে পারেন। এবার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বড়সড় চমক হয়ে হাজির হলেন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)।
এক সিরিজেই ১০৮ ধাপ উত্থানের সাক্ষী থাকলেন দীনেশ কার্তিক। আইসিসির (ICC) সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ক্রমপর্যায়ে ব্যাটারদের তালিকায় ১০৮ ধাপ এগিয়ে ৮৭ নম্বরে উঠে এসেছেন ভারতীয় তারকা। সদ্য় সমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন কার্তিক। বিশেষত ফিনিশারের ভূমিকায় নিজের জাত চিনিয়ে দেন। চার ম্যাচে ৯২ রান করেন। প্রথম ম্যাচে বেশি সুযোগ পাননি। মাত্র এক রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে যেখানে পুরো ভারতীয় দল নাকানি-চোবানি খাচ্ছিল, সেখানে পাল্টা মেরে অপরাজিত ৩০ রান করেন। তৃতীয় ম্যাচে বেশি রান না পেলেও পরের ম্যাচে সেই খামতি পুষিয়ে নেন। মাত্র ২৭ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। কার্তিকের স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৩.৭। ন'টি বাউন্ডারি হাঁকান। মারেন দুটি ছক্কা । সেই ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন কার্তিক। যিনি তিন বছর পর ভারতের জার্সিতে কোনও ম্যাচ খেলেন।
আরও পড়ুন: এক লাফে ১০৮ ধাপ ওপরে, টি-টোয়েন্টিতে চমক দিলেন ডিকে