হায়দরাবাদ: নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে চোখধাঁধানো পারফর্ম করলেন শিখর ধবন (Shikhar Dhawan)। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও, তাঁর দৌলতেই লড়াইয়ের রসদ পেল পাঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৩/৯ তুলল পাঞ্জাব। শিখর ধবনের পরে পাঞ্জাবের হয়ে স্যাম কারান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন।


নতুন বলে ভুবিদের দাপট


এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সঠিক প্রমাণিত করেন ভুবনেশ্বর কুমার। দুরন্ত ফর্মে থাকা প্রভসিমরন সিংহকে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরান ভুবি। পরের ওভারেই ম্যাট শর্টকে ফেরান মার্কো জানসেন। জিতেশ শর্মাও চার রানে ফেরেন। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব। এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়ক শিখরকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন স্যাম কারান।


দুই বাঁ-হাতি ব্যাটার পাঞ্জাবের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তোলে পাঞ্জাব। তবে এই ম্যাচে সানরাইজার্সের হয়ে অভিষেক ঘটানো মায়াঙ্ক মারকাণ্ডে (Mayank Markande) বল হাতে নিয়েই এই পার্টনারশিপ ভাঙেন। ৬৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। পরপর টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সিকন্দর রাজাকে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবে ব্যবহার করতে বাধ্যই হয় পাঞ্জাব। তবে জিম্বাবোয়ের তারকা অলরাউন্ডারও পাঁচ রানের বেশি করতে পারেননি।


একাই ৯৯


২৫ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে পাঞ্জাব। মারকাণ্ডে চার চারটি উইকেট নেন। ৮৮ রানে নয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল প্রীতি জিন্টার দল। তবে একদিকে যেখানে পরের পর উইকেট পড়ছিল, সেখানে অপরপ্রান্তে ৪২ বলে ৫০ রান করে ফেলেন শিখর। শেষ উইকেটে মোহিত রাঠেকে সঙ্গে নিয়েই এক অভূতপূর্ব লড়াই চালান শিখর। দশম উইকেটে শিখর ও মোহিত ৫৫ রান যোগ করেন। গোটা পার্টনারশিপে রাঠের অবদান ছিল মাত্র এক রান। 


হাতে উইকেট না থাকায় ইনিংসের শেষ ওভারে টি নটরাজনের বিরুদ্ধে চারটি ডট বল খেলতে কার্যত বাধ্য হন শিখর। তবে ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। দুর্ভাগ্যবশত ছয় মারলেও ১ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় শিখরের। ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, চাপের মুখে শিখরের এমন ইনিংস কিন্তু স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 


আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের হয়ে অধিনায়কোচিত ৯৯ রান শিখরের, সানরাইজার্সের সামনে ১৪৪ রানের লক্ষ্য