হারারে: ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) পারেনি। কিন্তু কোনও ভুল করল না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল (Srilanka Cricket Team)। জিম্বাবোয়েকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে হারিয়ে চলতি বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের টিকিট পাকা করল তারা। সুপার সিক্সের রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে আয়োজকদের ২১ রানে হারিয়ে দিল দাসুন শনাকার দল। চলতি টুর্নামেন্টে একটিও ম্যাচ হারেনি লঙ্কা ব্রিগেড। ফলে বিশ্বকাপের টিকিট পাকা হয়ে গেল তাঁদের জন্য। ৪ উইকেট নিলেন মাহিশা থিকশানা। অন্যদিকে ব্যাট হাতে শতরান হাঁকালেন লঙ্কা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তিনি ১০১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিল ১৯৯৬-র বিশ্বচ্য়াম্পিয়নরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা। জিম্বাবোয়ের টপ অর্ডার এদিন পারফর্ম করতে পারেনি। অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন ১৪ রানে আউট হন। গুম্বি খাতা খেলাার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মিডল অর্ডারে দলের ২ ব্যাটিং স্থম্ভ সিন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন সিন উইলিয়ামস। তিনি ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে সিকান্দার রাজা ৫১ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে তিনি ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া আর কেউই বড় রান পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩২.২ ওভারে ১৬৫ রানে অল আউট হয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার থিকশানা। নিজের ৮.২ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৫ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। দিলশান মাধুশনাকা ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন পাথিরানা ও ১ উইকেট নেন শনাকা।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পাথুম নিশাঙ্কা। ১০২ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসেই লঙ্কা বাহিনীর জয় নিশ্চিত করেন নিশাঙ্কা। নিজের ইনিংসে ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। অন্যদিকে দিমূথ করুণারত্নে অবশ্য ৩০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কুশল মেন্ডিস এসে যোগ্য সঙ্গ দেন নিশাঙ্কার। মেন্ডিস ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায়। ৩৩.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় লঙ্কা বাহিনী।