ম্যাঞ্চেস্টার: বিশ্বকাপে এক নম্বর দলের মতোই খেলছে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের পরে নিজের দল নিয়ে এমনই স্বগোতক্তি করেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিশ্ব ক্রিকেটের তাবড় বোদ্ধারাও মানছেন, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই এক নম্বর দলের মতো খেলছে ভারত। প্রতিযোগিতার প্রথম ভাগে ব্যাটিং শো, আর দ্বিতীয় ভাগে বোলিং শো, ভারত দশে দশ। তবে এরপরও কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে নম্বর চার।
যে চার নম্বর জায়গায় ২ বছর ধরে রীতিমতো এক্সপেরিমেন্ট করে লোকেশ রাহুলকে ঠিক করা হল, সেই তিনি ওপেন করায় আবার একটা ‘শূন্যস্থান’ তৈরি হয়েছে। শূন্যস্থান এ কারণেই, বিজয় শঙ্কর সুযোগ পেয়েও এখনও পর্যন্ত ‘ব্যর্থ’। শুরুটা ভাল হলেও বড় রান করতে পারছেন না। পাকিস্তান ম্যাচেও না, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচেও না। এমন অবস্থায় জোরাল হচ্ছে শিখর ধবনের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া ঋষভ পন্থের খেলার সম্ভাবনা। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত তো বলেই দিলেন, “আমি ম্যানেজমেন্টে থাকলে ৪ নম্বরে অবশ্যই ঋষভকে খেলাতাম।” ভারতীয় দলকে তাঁর পরামর্শ, “রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে খেলাও।”
রবিবার বার্মিংহামের এজবাস্টন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। এক বনাম দুইয়ের লড়াই, স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা গগনচুম্বী। চলতি বিশ্বকাপে ভারত এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। অন্যদিকে ব্রিটিশ দল মেন ইন ব্লু-দের বিরুদ্ধে হারলে কার্যত খাদের কিনারে চলে যাবে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে সেমিতে যাওয়ার রাস্তাও। শ্রীকান্ত মনে করছেন, এটাই ঋষভকে সুযোগ দেওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। গত মরশুমে ইংল্যান্ডে ঋষভের পারফর্ম্যান্সকেই তাঁর সুযোগ পাওয়ার কারণ হিসেবে খাড়া করছেন শ্রীকান্ত। তাঁর মতে টেস্টে ব্রিটিশ দলের বিরুদ্ধে দারুণ পারফর্ম করেছে ঋষভ। পরিচিত বিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে ঋষভ অ্যাডভান্টেজও পাবে।
একই সঙ্গে ওপেনে কেএল রাহুলকে আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা বলছেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ওপেনার বলছেন, “কয়েকটা ম্যাচে রোহিত সেভাবে ঝলসে উঠতে পারেনি। সেক্ষেত্রে লোকেশের থেকে প্রত্যাশা আরও বাড়ছে। ওকে বড় স্কোর করে দেখাতে হবে।”
এসবের পরও বিরাট কোহলি ও স্পিডস্টার মহম্মদ সামির প্রশংসা শোনা গেল তাঁর মুখে। সবথেকে দ্রুত ২০ হাজার আন্তর্জাতিক রানের গণ্ডি পার করা কোহলি ও বল হাতে সামির আগুনে স্পেলে বিপক্ষের রানরেটে ব্রেক লাগানো, দুইয়েরই প্রশংসায় পঞ্চমুখ কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত।