মেলবোর্ন: টিকিটের জন্য হাহাকার। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, ছক ভেঙে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার ব্যবস্থা করেছে আইসিসি। সেই সমস্ত স্ট্যান্ডিং রুমের টিকিটও নিঃশেষ। পপস্টার কেটি পেরির পারফরম্যান্স। দলকে উৎসাহ দিতে মিচেল স্টার্কের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে আসা।

সব মিলিয়ে আগামীকাল নারীদিবসে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ নিয়ে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

আর সেই ম্যাচের আগে ভারতীয় শিবিরকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করে তুলবে অস্ট্রেলিয়া শিবিরের চোট-আঘাত। তারকা পেসার এলিসি পেরিকে এই ম্যাচে পাবে না অস্ট্রেলিয়া। টেলা ভায়েমিঙ্কও নেই। গ্রুপে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ভারত। তাই এই ম্যাচেও অনেক বিশেষজ্ঞ ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন। যদিও এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ ভারতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচ দেখতে ৯০ হাজার মানুষ মাঠে আসবেন। এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। মুহূর্তটা উপভোগ করতে হবে। সকলের জন্য়ই এটা একটা বিরাট মঞ্চ।’

মেলবোর্নের ফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চিত অজি অধিনায়ক মেগ ল্যানিংও। বলেছেন, ‘এই ম্যাচের আগে যেরকম আবহ, তা আগে কখনও দেখিনি। এরকম একটা ম্যাচের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। সব সময়ই মেলবোর্নে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে চেয়েছি। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।’ যোগ করেছেন, ‘ভারত খুব ভাল দল। পরপর ম্যাচ জিতে ছন্দেও রয়েছে। আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা।’

ভারতীয় শিবিরকে স্বস্তি দেবে শেফালি বর্মার দুরন্ত ফর্ম। স্পিনাররাও ছন্দে আছেন। তবে এই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে ভারত। অস্ট্রেলিয়া যেখানে চারবারের চ্যাম্পিয়ন। বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতায় এগিয়ে অজিরা। পাশাপাশি এলিসি পেরির পরিবর্তে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে সফল জেস জোনাসেন। যা অজিদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে ভারতীয় শিবির এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ে কোনও ম্যাচ খেলেনি। তাদের সেমিফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছিল। তাই অস্ট্রেলীয় শিবিরে ক্লান্তির ছাপ থাকতে পারে।

মেলবোর্নে বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। তবে এই মাঠে গত দুসপ্তাহে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হয়নি। বড় রানের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন কিউরেটর। ব্যাটসম্যানদের হাতেই ম্যাচের রাশ থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।