রাজকোট: প্রথম দুটো টেস্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আগেই। এবার শোনা যাচ্ছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগামী দুটো ম্য়াচেও হয়ত খেলবেন না বিরাট কোহলি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রথম দুটো টেস্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কোহলি। আন্দাজ করা গিয়েছিল যে স্ত্রী অনুষ্কা সন্তানসম্ভবা হওয়ায় হয়ত ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন তিনি। পরে সেই সম্ভাবনা উসকে দিয়েছিলেন এবি ডিভিলিয়ার্সও। এবার শোনা যাচ্ছে যে পরের দুটো টেস্টেও পাওয়া যাবে না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। ধর্মশালায় শেষ টেস্টেও কোহলিকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানা গিয়েছে। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, 'নির্বাচকেরা বলতে পারবেন বিরাটকে পরের ম্যাচে পাওয়া যাবে কি না। ওর সঙ্গে কথা বলা হবে। ২-১ দিনের মধ্যে দল নির্বাচন করা হবে।'


দ্বিতীয় টেস্টের আগে ভারতীয় দলে বেশ কিছু রদবদল ঘটে। চোটের কারণে কেএল রাহুল, রবীন্দ্র জাডেজা দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ায় ২৯ জানুয়ারি ভারতীয় নির্বাচকরা তাঁদের বদলি হিসাবে সরফরাজ খান, সৌরভ কুমার এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের নাম ঘোষণা করেছে। তবে বাকি তিন টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি, মঙ্গলবার নির্বাচকরা এক বৈঠকে বসছেন যেখানে বাকি তিন টেস্টর জন্য দল বাছাই করা হবে।


বিরাট কোহলির ঠিক কী কারণে প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি, তা বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। কোহলিকে এই সময় জল্পনা-কল্পনা থেকে দূরে রাখার জন্যও অনুরোধ করে ভারতীয় বোর্ড। এই সময়কালে সোশ্যাল মিডিয়া বা কোথাওই কোহলির দেখা মেলেনি। এক বিসিসিআই সূত্র দাবি করেন কোহলি এখনও বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি মাঠে ফিরতে প্রস্তুত কি না সেই বিষয়ে কিছুই জানাননি। তাই বাকি তিন টেস্টেও তাঁর অংশগ্রহণ ঘিরে প্রবল অনিশ্চয়তা। 


সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয় যে কোহলির মা অসুস্থ, সেই কারণেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে সেইসব রিপোর্টকে নাকচ করে দিলেন বিরাটের দাদা বিকাশ কোহলি (Vikas Kohli)। 


বিকাশ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁদের মায়ের শারীরিক অবস্থা একদম ঠিকঠাক রয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন ভুলভাল খবর না রটানোরও অনুরোধ করেছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'আমাদের মাকে নিয়ে ভুলভাল সব খবর রটানোর বিষয়টি সম্প্রতি আমার নজরে পড়েছে। সকলকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে আমাদের মা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। আমি মিডিয়াসহ সকলকে অনুরোধ করব যে এইসব ভুলভাল খবর যেন রটানো না হয়।'