সিডনি: এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বল-বিকৃত করেছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনার জন্য স্মিথ ও ওয়ার্নারকে সতর্কও করে দেন ম্যাচ রেফারি। তবে তাতেও তাঁরা নিজেদের সংশোধন করেননি। ফলস্বরূপ এক বছরের জন্য নির্বাসিত হতে হয়েছে।


অস্ট্রেলিয়ার ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রতিযোগিতা শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথওয়েলশের হয়ে ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে বল-বিকৃতি করেন ওয়ার্নার ও স্মিথ। প্রাক্তন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার ড্যারিল হার্পার ই-মেল করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ার নির্বাচন কমিটির ম্যানেজার সাইমন টাফেলকে এই ঘটনার কথা জানান।

ওই ই-মেলে হার্পার লেখেন, ‘ম্যাচের প্রথমদিন ডেভিড ওয়ার্নার বারবার নিউ সাউথওয়েলশের উইকেটকিপার পিটার নেভিলের দিকে গড়িয়ে গড়িয়ে বল ছুড়ছিলেন। আম্পায়াররা স্মিথকে খেলায় সততা বজায় রাখার অনুরোধ জানান। কিন্তু উত্তরে স্মিথ যা বলেন, তাতে খুশি হননি আম্পায়াররা। দ্বিতীয় দিন সকালে আমি আম্পায়ারদের সাহায্য করি। নিউ সাউথওয়েলশের কোচ ট্রেন্ট জনস্টনকে বলি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চায় না জাতীয় দলের অধিনায়কের বল-বিকৃতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হোক।’

হার্পার আরও জানিয়েছেন, ‘নিউ সাউথওয়েলশ সেই ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরে সিডনির মাঠের পিচ নিয়ে অভিযোগ জানান স্মিথ। তাঁর আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল, শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলতে হওয়ায় খুশি নন। সেই সময়ই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসির বিরুদ্ধে বল-বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার জন্য তাঁকে সাজাও দেওয়া হয়। শেফিল্ড শিল্ডের ওই ম্যাচের শেষ তিনদিনে আর কোনও সমস্যা হয়নি। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মিটিংয়ে যোগ দিতে অনিচ্ছুক দেখাচ্ছিল স্মিথকে। আমি জাতীয় দলের অধিনায়কের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ আশা করিনি।’