লন্ডন: ২-১-এ পিছিয়ে থেকে দ্য ওভালে জয়। সিরিজ হারের ভ্রুকুটি থেকে রক্ষা ব্রিটিশ দলের। পঞ্চম ও শেষ টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৪৭ বছর পর সিরিজ ড্র রাখল ইংল্যান্ড। সিরিজ সেরা হলেন স্টিভ স্মিথ এবং বেন স্টোকস। তবে ব্রিটিশ ব্যাটসম্যান ডেনিস কম্পটন এবং অজি অলরাউন্ডার কিথ মিলারের নামাঙ্কিত কম্পটন-মিলার পদক পেলেন স্মিথই।




৫ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে একটি ম্যাচ তিনি খেলেননি। জোফ্রা আর্চারের বলের আঘাতে ঘায়েল হয়ে বসে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। হেডিংলে টেস্টে স্টিভ স্মিথ ছিলেন কার্যত ‘দর্শক’। তবে বাকি যে চারটি ম্যাচে তিনি ব্যাট করেছেন, সেখানে তিনিই ছিলেন ‘শো স্টপার’। ওয়ার্নার যখন ব্যর্থ তখন শুরু থেকে হাল ধরেছেন। গোটা ইনিংস খেলেছেন অ্যাঙ্করের ভূমিকায়। আর ফিনিশ? এককথায় অনবদ্য। ১২ মাস নির্বাসিত থাকার পর, ব্রিটিশরা যখন স্টিভ স্মিথের গায়ে ‘চিটার’ কলঙ্ক লেপে দিচ্ছে তখন যেন রানের বন্যায় ‘পাপস্খলন’ করে গেলেন অজি তারকা।

সিরিজে সর্বোচ্চ ৭৭৪ রান। গড় একশোর ওপরে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে স্টিভ স্মিথই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি এক সিরিজেই সাতশো রানের গণ্ডি টপকালেন এবং সংগ্রহ করলেন ৩টি শতরান ও ৩টি অর্ধশতরান। রয়েছে একটি দ্বিশতরানও।


অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে এসেও সাতশোর অধিক রান করেছিলেন স্মিথ (৭৬৯)। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর সংগ্রহ ৭৭৪। আর এই নজিরের হাত ধরেই কিংবদন্তী সুনীল গাওস্করকে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। ১৯৭০ সালে গাওস্কর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি সিরিজেই ৭৭৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর ঝুলিতে ছিল ৪টি শতরান ও ৩টি অর্ধশতরান। যদিও এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান (৯৭৪)। আরও যারা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মার্ক টেলর (৮৩৯), নীল হার্ভে (৮৩৪), স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস (৮২৯), স্যার গ্যারি সোর্বাসের (৮২৪) মতো কিংবদন্তীরা। উল্লেখ্য, ভারতীয় হিসেবে টেস্টে কোনও একটি সিরিজে সাতশোর ওপর রান করার নজির রয়েছে একমাত্র সুনীল গাওস্করের। সাতশোর গণ্ডি না টপকালেও সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় বিরাট কোহলি (৬৯২)।