বার্মিংহ্যাম: অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করে দলের মুখরক্ষা করার পাশাপাশি একটি ব্যক্তিগত কীর্তিও করে ফেললেন স্টিভ স্মিথ। টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসাবে ২৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। ভেঙে দিলেন বিরাট কোহলির নজির।


বিরাট ২৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন ১২৩টি ইনিংসে। ১১৮টি ইনিংসে সেই মাইলফলক স্পর্শ করলেন স্মিথ। তালিকার শীর্ষে কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান। ৬৬টি ইনিংসে ২৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্র্যাডম্যান। সচিন তেন্ডুলকর ১২৫টি ইনিংসে ২৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন।সুনীল গাওস্কর ১২৮টি টেস্ট ইনিংসে এই নজির গড়েছিলেন।

১২২/৮ হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে স্মিথের লড়াকু সেঞ্চুরি। বৃহস্পতিবার ক্রিজের এক দিক থেকে যখন নিয়মিত উইকেট পড়ে চলেছে, তখন উইকেট কামড়ে পড়ে থেকে ২১৯ বলে ১৪৪ রান করেন স্মিথ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৬টি চার ও দুটি ছক্কা। স্মিথের সেঞ্চুরির পর উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন তারকারা। মার্ক ওয় টুইট করেন, ‘১৪২/৮ স্কোর দেখে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। উঠে দেখলাম আমাদের স্কোর দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা ও মনঃসংযোগের দুরন্ত নিদর্শন তুলে ধরেছে স্মিথ। প্রথম দুই সেশনে বিপর্যয়ের পর অস্ট্রেলিয়াও ম্যাচে ফিরে এসেছে।’

যাঁর ইনিংস নিয়ে এত চর্চা, সেই স্মিথ নিজে বলছেন, বল বিকৃতি পরবর্তী অধ্যায়ে কেরিয়ার নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন। স্মিথ বলেছেন, ‘গত ১৫ মাসে এমনও সময় গিয়েছে যখন আর কোনওদিন মাঠে নামতে পারব কি না, তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কনুইয়ে অস্ত্রোপচারের পর খেলাটার প্রতি ভালবাসাও হারিয়ে ফেলেছিলাম কিছুটা। তবে সেই ভালবাসা ফিরে এসেছে। বলতে পারব না ঠিক কী হয়েছিল। তবে মনে হয়েছিল ভেতর থেকে কেউ বলছে, আমি ফের পারব। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ফের মাঠে নেমে খেলব। মানুষকে গর্বিত করব যেটা করতে বরাবরই ভালবাসি।’

বার্মিংহ্যামের সেঞ্চুরিকে কেরিয়ারের অন্যতম সেরা বেছে নিয়েছেন স্মিথ। বলেছেন, ‘জানতাম ড্রেসিংরুমের সতীর্থদের সমর্থন পাব। আমার কাছেই সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ হওয়ার পর ব্যালকনিতে ওরা উচ্ছ্বাসে পেটে পড়েছিল। সেটা দেখে আমার শিরদাঁড়া বেয়ে শিহরণ বয়ে গিয়েছিল।’

অস্ট্রেলিয়ার কাজ সহজ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রধান পেসার জেমস অ্যান্ডারসন মাত্র চার ওভার বল করে কাফ মাসলে চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায়। অস্ট্রেলিয়ার ২৮৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের স্কোর ৭১/১।