ব্যাট হাতে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি, চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তনের পর আবেগবিহ্বল স্টিভ স্মিথ
এই দুঃসময়ে তাঁর ম্যানেজার, স্ত্রী ও বাবা তাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন স্মিথ। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী বছর নির্বাচনের শেষে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরে আসার চেষ্টা করবেন। সেইসঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদারল্যান্ডের হয়ে খেলতে চান।
স্মিথ বলেছেন, গত তিনমাস ক্রিকেটকে কাছে রেখেও এই খেলা থেকে দূরে রেখেছি নিজেকে। আমার বাড়িতে নেট রয়েছে। কিন্তু আমি একবারও অনুশীলন করিনি। গ্লোবাল টি ২০ লিগে খেলার আগে আমি কিছুটা ইন্ডোর অনুশীলন করেছি।এই ইনিংসটা খেলে খুব ভালো লাগছে।
আবেগবিহ্বল স্মিথ বলেছেন, এই খেলাটা আমি ভালোবাসি এবং এরসঙ্গে আমার চিন্তাভাবনার পুরোটাই জড়িয়ে থাকে। আমার ওপর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। আমার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়াকে শোচনীয়ভাবে হারতে দেখে আমি সবচেয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছি। আমি বাড়িতে বসে ম্যাচ দেখতাম। দলকে হারতে দেখতে একদমই ভালো লাগে না। কখনও কখনও মনে হয়েছে, যদি আমি দলে থেকে যদি সাহায্য করতে পারতাম! কিন্তু এমনটা হওয়া সম্ভব নয় বলে আমি জানি। আমার কাছে আফসোস করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।
বল বিকৃতির ঘটনায় তাঁর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন স্মিথ। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজের সময় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত।এ জন্য আমার জীবনটাই বদলে গিয়েছে।
স্মিথ বলেছেন, সত্যি কথা বলতে কী, জীবনে এই প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। এ রকম এর আগে কখনও হয়নি। ব্যাটিং করার সময় বা তার আগে এ রকম চাপ এর আগে কখনও অনুভব করিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত সব ঠিক হয়ে যায় এবং ব্যাটিংয়ের ছন্দ ফিরে পাই।
বল বিকৃতি কেলেঙ্কারির ঘটনার তিন মাস পর ক্রিকেটে ফিরলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। কানাডা গ্লোবাল টি ২০ লিগে টরেন্টো ন্যাশনাল দলের হয়ে খেলতে নেমে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। ৪১ বলে ৬১ রান করলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮ টি চার এবং ১ টি ছয়। এই ইনিংস খেলার পর গত কয়েকটা মাস কীভাবে কেটেছে, তা খোলামেলাভাবে জানালেন এই নির্বাসিত অজি খেলোয়াড়।