লন্ডন: উইম্বলডনের (Wimbledon 2024) শুরুতেই ধাক্কা খেলেন সুমিত নাগাল (Sumit Nagal)। ছিটকে গেলেন টুর্নামেন্ট থেকে প্রথম রাউন্ডে হেরেই। সুমিত হেরে গেলেন সার্বিয়ার মিওমির কেসমানোভিকের বিরুদ্ধে। ভারতের টেনিস তারকা হেরে যান ২–৬, ৬–৩, ৩–৬, ৪–৬ গেমে। এদিন কোনওভাবেই ছন্দে ছিলেন না সুমিত। প্রথম গেমেই ২-৬ ব্যবধানে হেরে যান। যদিও দ্বিতীয় সেটে লড়াইয়ে ফিরে এসেছিলেন। ৬-৩ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দুটো সেটে পরপর জিতে ম্য়াচ জিতে যান সার্বিয়ান তারকা।
প্রায় ২ ঘণ্টা ৪৮ মিনিটের লড়াই চলে সুমিত ও মিওমির মধ্য়ে। কিন্তু শেষ হাসি হাসেন সার্বিয়ান তারকাই। ২৪ বছরের মিওমির খেলা টুর্নামেন্টের শুরুর আগেই বিশেষজ্ঞদের নজরে এসেছিল। এটাই ছিল উইম্বলডনে নিজের প্রথম ম্য়াচ সুমিতের। কিন্তু ২৬ বছরের ভারতীয় টেনিস তারক পারলেন না তা স্মরণীয় করে রাখতে। এর আগে ২০১৫ সালে উইম্বলডনে বয়েজ ডাবলস খেতাব জিতেছিলেন সুমিত। ভিয়েতনামের নাম হোয়াঙ্গ লি'কে সঙ্গী করে ডাবলসের খেতাব জিতেছিলেন তিনি সেবার। কিন্তু সিঙ্গলসে প্রথম ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন এদিনই।
বিশ্বের ৭১ নম্বর সুমিতের বছরের শুরুটা দারুণ কেটেছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কাজাখাস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বের ২৭ নম্বর আলেকজান্ডার বাবলিককে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিলেন সুমিত। প্রায় ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের লড়াই শেষে নাগাল জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সুমিত। সেই ম্য়াচে সুমিত জিতেছিলেন ৬-৪, ৬-২, ৭-৬ (৭-৫) ব্যবধানে। উইম্বলডনেও ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু পারলেন না সুমিত।
এদিকে উইম্বলডনের পোস্টে রোহিত শর্মার সঙ্গে জকোভিচের ছবি। আসলে গত শনিবার বার্বাডোজের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় দল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই ফের বিশ্বজয় করে ভারত। আর ম্য়াচ জেতার পরই বার্বাডোজে যে পিচে খেলা হয়েছিল, সেই পিচের সামনে গিয়ে বসে পিচের ঘাস ছিড়ে খেতে দেখা যায় রোহিতকে। এই আইকনিক সেলিব্রেশন এর আগে দেখা গিয়েছে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নোভাক জকোভিচের। তিনিও এভাবেই কোর্টের ঘাস ছিড়ে খেতেন। রােহিত ও জোকার যেন কোথাও এক হয়ে গেলেন। দুই জনেই কিংবদন্তির আখ্যা পেলেন। উইম্বলডনে জোকারের মতই বার্বাডোজের ঘাস খেয়ে বিশ্বজয়ের স্বাদ চেখে দেখতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা।