নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপের পরও বিরাট কোহলি ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে আপনাআপনি থেকে গেলেন কী করে, এই প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান সুনীল গাওস্কর। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল কোহলিকে। তাই তাঁকে ওই পদে পুনর্বহালের জন্য একটা আনুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রয়োজন ছিল।
একটি সংবাদমাধ্যমে লেখা নিবন্ধে গাওস্কর লিখেছেন, অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে প্রথমে বৈঠক না করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য দল বেছে নেওয়া হল।এর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, কোহলি কি তাঁর বা নির্বাচক কমিটির মর্জিমাফিক দলের অধিনায়ক। যতদূর ধারণা রয়েছে, কোহলির নিয়োগ ছিল বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাই নির্বাচকদের দায়িত্ব ছিল তাঁর পুনর্নিয়োগের জন্য অনন্ত পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও বৈঠকে বসা।
এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি আসন্ন ওয়েস্ট সফরে তিনটি ফর্ম্যাটেই দলের অধিনায়ক হিসেবে কোহলির নাম জানিয়েছেন। আগামী ৩ আগস্ট থেকে ওই সিরিজ শুরু হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিসিসিআই-এর প্রশাসনিক কমিটি (সিওএ) জানিয়েছে যে, বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা তারা করবে না। এক্ষেত্রে ম্যানেজারের রিপোর্টই খতিয়ে দেখা হবে।
নির্বাচক কমিটিকে ‘অকর্মণ্য’ বলেও সমালোচনা করেছেন গাওস্কর। তিনি বলেছেন, পুর্ননির্বাচিত করার পর দলের সদস্যদের বাছাইয়ের জন্য অধিনায়ককে ডাকা হয়। এক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে যে বার্তা গিয়েছে, তা হল-প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম করতে না পারায় কেদার যাদব ও দীনেশ কার্তিকের মতো খেলোয়াড় বাদ পড়েছেন। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের ফাইনালে পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি দল। এরপরও প্রত্যাশা অনুযায়ী দল পারফর্ম করতে না পারার পরও অধিনায়ক স্বপদে বহাল থেকে গেলেন।
উল্লেখ্য, বিসিসিআই-এর একটি অংশ ২০২৩ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে অধিনায়কত্ব ভাগাভাগি করে দেওয়ার পক্ষে সরব হয়েছে।