একটি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রায়না বলেছেন, ‘দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত আমার ব্যক্তিগত ছিল। আমার পরিবারের জন্য ফিরে আসতে হয়েছে। বাড়িতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, আমাকে সেই মুহূর্তেই ফিরে আসতে হত। তবে সিএসকে-ও আমার পরিবার। আমার কাছে মাহিভাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। সিএসকে আর আমার মধ্যে কোনওরকম সমস্যা নেই।’
রায়না আরও বলেছেন, ‘আমি কোয়ারেন্টিনে থাকলেও, অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাকে আবার হয়তো সিএসকে শিবিরে দেখা যেতে পারে।’
পঞ্জাবের পঠানকোটে রায়নার এক আত্মীয়র বাড়িতে কয়েকদিন আগে হামলা চালায় একটি কুখ্যাত অপরাধীদের দল। সেই হামলায় একজনের মৃত্যু হয় এবং পরিবারের চারজন জখম হন। এরপরেই দেশে ফেরেন রায়না। তিনি এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের সাজা দেওয়ার জন্য পঞ্জাব পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে ক্রিকেটমহলে খবর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছে হোটেলের যে ঘরে ছিলেন, সেটি রায়নার পছন্দ হয়নি। তিনি করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। সেটাও দেশে ফেরার একটি কারণ হতে পারে। তাছাড়া দেশে ফিরে একটি সংবাদমাধ্যমকে এই ক্রিকেটারও বলেন, সন্তানদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।
এরপর আইপিএল-এ খেলার বদলে দেশে ফেরা নিয়ে রায়নাকে তীব্র কটাক্ষ করেন চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক এন শ্রীনিবাসন। যদিও পরে চাপের মুখে তিনি সুর নরম করেছেন। রায়না অবশ্য শ্রীনিকে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেননি। তিনি বলেছেন, ‘উনি আমার পিতৃতুল্য। উনি সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। আমার হৃদয়ে ওঁর জায়গা আছে। উনি আমাকে ছোট ছেলের মতোই দেখেন। আমি নিশ্চিত, ওঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বাবা সন্তানকে বকতেই পারেন।’