অ্যাডিলেড: আয়ার্ল্যান্ডকে হারানোর পরেই প্রথম দল হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 WC) সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলল নিউজিল্যান্ড। আইরিশদের বিরুদ্ধে (IRE vs NZ) ৩৫ রানে জয় পায় কিউয়িরা। এই জয়ের পরে একমাত্র অস্ট্রেলিয়া যদি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮৫ রানে জয় পেত, তাহলেই কিউয়িদের সেমিফাইনালে পৌঁছনোর জন্য অপেক্ষা করতে হত। তবে অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৬৮ রান করে। ফলে কিউয়িদের সেমিফাইনালের টিকিট পাকা হয়ে গেল। 


ফর্মে ফিরলেন উইলিয়ামসন


এদিন টসে জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিং করার আহ্বান জানান আয়ার্ল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। কিউয়িদের হয়ে ফিন অ্যালেন শুরুটা দারুণ করেন। ডেভন কনওয়ে কিছুটা মন্থর গতিতে হলেও, অ্যালেনকে সঙ্গ দেন। তবে মার্ক এডের অ্যালেনকে ফিরিয়ে ৫৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙেন। ১৮ বলে ৩২ রান করেন অ্যালেন। অ্যালনের পর কিউয়ি ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন কেন উইলিয়ামসন। তাঁর ফর্ম নিয়ে বহুদিন ধরেই সমালোচনা চলছিল। তবে ৩৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে কিউয়ি অধিনায়ক সমালোচকদের জবাব দেন। 


লিটিলের হ্যাটট্রিক


গ্লেন ফিলিপ্স শুরুটা ভাল করলেও, ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। ম্যাচের ১৯তম ওভারে চলতি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটি নেন জশ লিটিল (Josh Little)। তিনি উইলিয়ামসন, জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারকে ফেরান। গত বছর কার্টিস ক্যাম্ফার আইরিশদের হয়ে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক নিয়েছিলেন। সেই তালিকায় নাম লেখালেন লিটিল। ম্য়াচে ২২ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন লিটিল। তিনি মোট ১১ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন। কিউয়িদের হয়ে শেষের দিকে ড্যারল মিচেল ২১ বলে ৩১ রান করে দলকে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রান তুলতে সাহায্য করেন।


জবাবে আইরিশ ওপেনাররাও শুরুটা ভালই করেন। পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবার্নি ওপেনিংয়ে ৬৮ রান যোগ করেন। কিন্তু পরপর ওভারে ওপেনাররা আউট হতেই ছন্দপতন। স্টার্লিং (৩৭) ও বালবার্নি (৩০) আউট হওয়ার পরে নিরন্তর ব্য়বধানে উইকেট হারায় আইরিশরা। জর্জ ডকরেল (২৩) বাদে আর কোনও আইরিশ মিডল অর্ডার ব্যাটার তেমন রানই করতে পারেননি। শেষমেশ নয় উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১৫০ রানেই থেমে যায় আয়ার্ল্যান্ডের ইনিংস। ৩৫ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের হয়ে লকি ফার্গুসন সর্বাধিক তিনটি উইকেট নেন। কিউয়িদের নেট রান রেট বেশি ভাল হওয়ায় তাঁরা সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল।