দুবাই: সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পিচে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্পিনাররা রাজত্ব করবেন। এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন আফগানিস্তানের তারকা লেগস্পিনার রশিদ খান (Rashid Khan)।
দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামা আফগান বোলারের মতে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উইকেট স্পিনারদের সাহায্য করবে। ইউএই-তে তিনটি মাঠে হবে সুপার-১২, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল- সব ম্যাচ। তাতে স্পিনাররা কামাল করবেন বলে মনে করেন রশিদ খান।
রশিদ বলেছেন, ‘উইকেট যেমনই হোক না কেন, তা স্পিনারদের খুবই সাহায্য করবে। স্পিনাররা বিশ্বকাপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আইপিএলে স্পিনাররা তাদের দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিশ্বকাপেও এমনটাই হবে বলে আমি মনে করি।’
এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন রশিদ। দল সফল না হলেও বল হাতে সফল হয়েছিলেন রশিদ। নিজের দল সানরাইজার্সের হয়ে সর্বোচ্চ উইকট নিয়েছিলেন রশিদই। ১৮টি উইকেট নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের যুজবেন্দ্র চাহাল ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে স্পিনারদের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন রশিদ।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্পিনারদের উৎসাহিত করে তুলতে পারে গত দুই মরসুমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হওয়া আইপিএলের পরিসংখ্যান। রেকর্ড বলছে, দুই মরসুমে দুবাইয়ে স্পিনাররা নিয়েছেন মোট উইকেটের ৩০.৮ শতাংশ। শারজা ও আবু ধাবিতে স্পিনাররা নিয়েছেন যথাক্রমে ৩০.১ শতাংশ ও ৩২.১ শতাংশ উইকেট। ২০২১ সালের আইপিএলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আফগান স্পিনার বলেছেন, ‘৩ অক্টোবর যখন আমরা কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলেছিলাম, তখন ওদের দলে চারজন স্পিনার ছিল। তারা প্রত্যেকেই ওভার প্রতি গড়ে মাত্র ৪ থেকে ৫ রান করে খরচ করেছে।’
পাশাপাশি রশিদ বলেছেন, 'ব্যাটার হিসেবে আমি বরাবর সচিন তেন্ডুলকরকে দেখতে ভালবাসতাম। শুধুমাত্র ছয় মারব ভেবে কোনওদিনই মাঠে নামতাম না। মাটি ঘেঁষা শট খেলতে বেশি ভালবাসতাম। সিঙ্গলসই হোক বা বাউন্ডরি। তবে জানি না কখন কী ভাবে আমার মানসিকতা বদলে গেল। এখন তো ছয় মারার জন্যেই মাঠে নামি।'