শারজা: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ম্যাচ হারল। তবে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন শাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড গড়লেন শাকিব আল হাসান। সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। তিনি পিছনে ফেলে দেন শাহিদ আফ্রিদিকে।
চলতি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে ৪ উইকেট নিয়ে শাকিব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় আফ্রিদির সঙ্গে যুগ্মভাবে এক নম্বরের সিংহাসন দখল করেন। সেই ম্যাচের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৪টি ম্যাচ খেলে আফ্রিদিও সংগ্রহে করেছেন ৩৯টি উইকেট।
রবিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে পাথুম নিসঙ্কার উইকেট নেওয়া মাত্রই আফ্রিদিকে পিছনে ফেলে দেন শাকিব। তিনি এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড ছিনিয়ে নেন। পরে শাকিব আবিষ্কা ফার্নান্ডোর উইকেটটিও নেন। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে জোড়া উইকেট নেওয়ার সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শাকিবের সংগ্রহে মোট ৪১টি উইকেট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল বাংলাদেশ। গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে তাদের ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। তাদের জয়ের নায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ৪৯ বলে ঝোড়ো ৮০ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। শেষের দিকে ভানুকা রাজাপক্ষে ৩১ বলে ৫৩ রান করলেন। ৭ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের ১৭১ রান তাড়া করে দিল শ্রীলঙ্কা।
একটা সময় তাদের টুর্নামেন্টের মূল পর্বে দেখা যাবে কি না তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের প্রথম ম্যাচে তাদের হারিয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। পরে ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে মূল পর্বে প্রবেশ করতে হয়। সেই বাংলাদেশ মূল পর্বের প্রথম ম্যাচেই আশা তৈরি করেছিল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলেছিল তারা। ওপেনার মহম্মদ নঈম ৫২ বলে করেন ৬২ রান। ৩৭ বলে ঝোড়ো ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
আইপিএলের সময় দেখা গিয়েছিল, শারজার পিচ তুলনামূলকভাবে মন্থর। যেখানে বল পিচে পড়ে ধীর গতিতে ব্য়াটে আসছিল এবং প্রায় সব ম্যাচই লো স্কোরিং হচ্ছিল। রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সাতজন বোলার ব্যবহার করেন তিনি। তবে বাংলাদেশের রান ওঠার গতিতে পুরোপুরি লাগাম পরাতে পারেননি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিরাট কোহলি বলেছিলেন, আইপিএলের চেয়ে অনেক ভাল পিচ দেখার আশা করছেন। দেখা গেল, শারজার উইকেটও আইপিএলের তুলনায় অনেক ভাল। যেখানে ভদ্রস্থ স্কোর তুলল বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত বেশ সহজেই রান তাড়া করে দিল শ্রীলঙ্কা।