দুবাই: আইসিইউ থেকে বেরিয়েই দেশের দায়িত্ব পালনে মাঠে নেমে পড়া। মহম্মদ রিজওয়ানকে (Mohammed Rizwan) নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে হইচই পড়ে গিয়েছে। পাক উইকেটকিপার-ব্যাটার মুগ্ধ করেছে ভারতের এক কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে। তিনি, ভি ভি এস লক্ষণ (VVS Laxman) জানালেন, রিজওয়ান সকলের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।
ভিভিএস লক্ষ্মণ ট্যুইটারে জানিয়েছেন, রিজওয়ান যে কাজ করেছেন, তার জন্য কোন প্রশংসা যথেষ্ট নয়। সাহস, একাগ্রতা এবং ইচ্ছাশক্তির এমন উদাহরণ নজিরবিহীন। এই সাহস অনেকদিন মনে থাকবে। তিনি ট্যুইট করেন, ‘সাহস, সংকল্পের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। দুই দিন আইসিইউতে থাকার পর রিজওয়ানের সাহস এবং লড়াই, সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। খেলাধুলো হল একটি মহান শিক্ষক এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
দুরন্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। কিন্তু এরই মাঝে মহম্মদ রিজওয়ানের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কাহিনি মন জয় করে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ম্যাচ হারলেও অজিদের বিরুদ্ধে ৫২ বলে ৬৭ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু জানা গিয়েছে, তার আগে ২ দিন আইসিইউতে ছিলেন এই পাক উইকেট কিপার ব্যাটার।
ম্যাচের আগেই খবর ছড়িয়েছিল যে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত রিজওয়ান। তবে ম্যাচের আগে কেউ জানতেন না যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ম্যাথু হেডেন ম্যাচের মধ্যে এই খবর নিজে দেন। ২৪ ঘণ্টা আগে ফুসফুসে সংক্রমণের দরুণ রিজওয়ান আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন৷ কিন্তু তারপরেও তিনি সেমিফাইনালে খেলতে নামেন এবং অর্ধশতরানও করেন। দেশের প্রতি রিজওয়ানের এই দায়বদ্ধতার বিষয় জানার পরই প্রশংসার ঝড় উঠেছে চারিদিকে। প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারও রিজওয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের চিকিৎসক নজীব সোমরু বলেছেন, ''মহম্মদ রিজওয়ান ৯ নভেম্বর বুকের গভীর সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ তারপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়৷ উনি ২ রাত আইসিইউতে থাকেন৷ কিন্তু উনি খুব দ্রুত সেরে ওঠেন৷ সমস্ত পরীক্ষার পর তাঁকে ফিট ঘোষণা করা হয়৷ আমরা ওঁর মজবুত ইচ্ছাশক্তি দেখতে পাই, তিনি চাইছিলেন দেশের জার্সিতে পারফরম্যান্স দিতে৷ তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়েছে৷ এটা পুরো দলের মনোবলের বিষয় ছিল, তাই এই খবর সকলকে দেননি৷''