মেলবোর্ন: রান তাড়া করতে নেমে বরাবরই তিনি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। একটা সময় ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছিল, চেজ়মাস্টার। কিন্তু ছন্দ হারিয়ে চাপে ছিলেন বিরাট কোহলি। একটা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়েও কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল।


সব প্রশ্নের জবাব দিলেন কোহলি (Virat Kohli)। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে বড় মঞ্চ ছিল রবিবার মেলবোর্নে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৩ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলে নাটকীয় ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিলেন কোহলি। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার।


ম্যাচ জয়ের নায়ক বলেছেন, 'আমার মতে এটা আমার অন্যতম সেরা ইনিংস। এই ম্যাচের মানটা ছিল অন্যরকমের। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পেরেছি বলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।' কোহলি যোগ করেছেন, 'আমার মনে হয় এবার সকলে আনন্দের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে পারবেন। সকলের দীপাবলি খুশিতে আর সমৃদ্ধিতে কাটুক।'


 






ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। আর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যদি মুখোমুখি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে, তাহলে ক্রিকেটারদের মধ্যে বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হবে বলাই বাহুল্য।


রবিবার মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে এক সময় ৩১/৪ হয়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করেন বিরাট ও হার্দিক পাণ্ড্য। হার্দিক ৩৭ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও, কোহলি ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান দরকার ছিল ভারতের। ১৯তম ওভারে হ্যারিস রউফকে পরপর ২ বলে ছক্কা মারেন কোহলি। শেষ ওভারে মহম্মদ নওয়াজকেও ছক্কা মেরে ভারতের জয়ের রাস্তা কার্যত সুগম করে দেন।


ম্য়াচ শেষ হতেই দৌড়ে মাঠে ঢোকেন রোহিত। ডেথ ওভারে যাঁকে ডাগ আউটে উদ্বিগ্ন মুখে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছিল। মাঠে ঢুকে পড়েন হার্দিক পাণ্ড্যও। তবে তাঁকে খানিকটা হতচকিত করে দিয়েই কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন রোহিত। তারপর কোলে তুলে নেন কোহলিকে। এক লক্ষের ঠাসা স্টেডিয়াম গর্জন করে ওঠে। কোহলিকে খানিকক্ষণ আগলে রেখে নামান রোহিত। যেন বুঝিয়েই দেন যে, কোহলির ইনিংস তাঁদের অভিযানকে অক্সিজেন দিয়ে গেল।


আরও পড়ুন: এমন মুহূর্ত আর কখনও আসবে না, পাকিস্তান ইনিংসকে ভেঙে বললেন অর্শদীপ