মেলবোর্ন: টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) শুরুর আগে থেকে তাঁকে গেমচেঞ্জার বলা হচ্ছিল। কেন হচ্ছিল, রবিবার মেলবোর্নে ফের একবার তার প্রমাণ দিলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)।


জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে (Ind vs Zim) ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করে ম্যাচের রং পাল্টে দিলেন স্কাই। একটা সময় ভারতের স্কোর দেড়শোয় পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। সূর্যর দাপটে ভারত দেড়শো নয়, তুলল ১৮৬ রান। দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেওয়ার ফাঁকে ব্যক্তিগত এক নজিরও গড়ে ফেললেন সূর্য।


টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে এক হাজার রান হয়ে গেল মুম্বইয়ের তারকার। তিনিই চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোরার। প্রথম ভারতীয় হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে এক হাজার রানের মাইলফলক পেরলেন সূর্য। ২৮ ম্যাচে ১০২৬ রান হয়ে গেল তাঁর। এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সর্বকালের সেরা রান সংগ্রহকারী হতে গেলে সূর্যকে পেরতে হবে পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ানকে। গত মরসুমে ২৯ ম্যাচে ১৩২৬ রান করেছিলেন রিজওয়ান। এই দুজন ছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে আর কোনও ব্যাটারের এক ক্যালেন্ডার বর্ষে এক হাজারের বেশি রান নেই।


 




রবিবার মেলবোর্নে জিম্বাবোয়ের বোলিংয়ের সামনে ভারতের একের পর এক ব্যাটার যখন ফিরে যাচ্ছেন, আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনেও।


সেই মেঘ যাতে প্রলয়ে পরিণত না হয়, হাফসেঞ্চুরি করে তা নিশ্চিত করলেন কে এল রাহুল। ওপেন করতে নেমে ৩৫ বলে ৫১ রান করলেন রাহুল। তারপর শুধু সৌরঝড়। চলতি ক্যালেন্ডার বর্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক হাজার রান হয়ে গেল মুম্বইয়ের তারকার। উইকেটের চারপাশে শটের বৈচিত্র্যের জন্য যাঁকে এ বি ডিভিলিয়ার্সের পর বিশ্বক্রিকেটের নতুন মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি বলা হচ্ছে। রবিবার মেলবোর্নে রাহুলের হাফসেঞ্চুরির পরেও তখন চাপে ভারত। দেড়শো রান পেরবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সব হিসেব নিকেশ বদলে গেল সূর্যর দাপটে।


২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন। পেসারের বল স্কুপ করে বাউন্ডারির বাইরে ফেললেন। একবার নয়, বারবার। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত রইলেন সূর্য। তাঁকে সঙ্গত করলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ১৮ বলে ১৮ রান করলেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ১৮৬/৫। জিম্বাবোয়ের সামনে জয়ের লক্ষ্য ১৮৭ রান।