বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর(পশ্চিম মেদিনীপুর) : বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহর। রাস্তায় জমেছে হাঁটু সমান জল। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরেও জমেছে জল। চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী। এই পরিস্থিতিতে জমা জল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


রাস্তা না পুকুর ? বোঝা দায় ! রাস্তার জল ঢুকে গেছে দোকানেও! রবিবারের বৃষ্টির জেরে, চরমে জল যন্ত্রণা। জল থইথই খড়গপুর পুরসভার অন্তত ১০টি ওয়ার্ড। খড়গপুরের সারদা পল্লি, আনন্দনগর, কৌশল্যা, ঝপেটাপুর, গোলবাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্ভোগের জলছবি।


জমা জলে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। খড়গপুরের বাসিন্দা বাপি সাহু বলেন, অল্প একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। পল্লীবাসীর দুর্ভোগ। আমাদের ভয় লাগে, একটু বৃষ্টি হলে বাড়িতে জল ঢুকে যায়। পুর পরিষেবা বলে কিছু নেই। খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। স্নান করে নালির জল পেরিয়ে যেতে হয়। প্রচুর সমস্যা হচ্ছে।


জল জমেছে আনন্দনগরের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরেও। সেখানে জল ঠেলেই ভ্যাকসিন নিতে যেতে হচ্ছে স্থানীয়দের। 


আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। খড়গপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শ্রী রাও বলেন, সাত বছর আগে খড়গপুর পুরসভার পুরপিতা সবথেকে বড় মিথ্যা কথা বলেছিলেন। খড়গপুর শহরে নিকাশি ব্যবস্থার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে। সাত বছর ধরে আমরা শুনছি। কিন্তু, আজ পর্যন্ত এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি হল না। সরাসরি খড়্গপুরের মানুষদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। 


এদিকে খড়গপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিব্যেন্দু পাল বলেন, খড়্গপুরের পৌর পিতা পাঁচ-ছয় বছর ধরে সব রকমের কাজ আরম্ভ করেছেন। খড়গপুর পৌরসভা চেষ্টা করছে জল নিকাশি ব্যবস্থা করার জন্য। বিজেপি নিজে কিছু কাজ করছে না। বিজেপির আগে এমপি ছিল। এখন এমএলএও হল। বিজেপি কি কাজ করেছে ?


এদিকে খড়গপুরের পুর প্রশাসক প্রদীপ সরকারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 


দীর্ঘ দিনের এই জলযন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি মিলবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুণছে এলাকাবাসী।