মেলবোর্ন: পাকিস্তান বধে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দোসর ছিলেন তিনিও। পঞ্চম উইকেটে তাঁদের ৭৮ বলে ১১৩ রানের পার্টনারশিপ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। সেই হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya) ম্যাচের আগেই বাড়ির সকলকে বলে দিয়েছিলেন যে, স্পেশ্যাল কিছু করতে চলেছেন!


ম্যাচের পর হার্দিক জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের তিনি আগাম বলে রেখেছিলেন যে, স্পেশ্যাল কিছু করবেন ম্যাচে। হার্দিক বলেছেন, 'আমার একটা অনুভূতি হয়েছিল যে বিশেষ কিছু একটা ঘটতে চলেছে। তারপরই আমি ম্যাচের আগে আমার দাদা, আমার স্ত্রী, আমার মা, আমার বৌদি, আমার ম্যানেজার ভিভানকে মেসেজ করেছিলাম যে, আজ রাতে তোমাদের জন্য বিশেষ কিছু করব। আমি ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমি জানতাম ভাল কিছু করব। আমার কোনও বাড়তি উত্তেজনা হয়নি। শান্ত ও সংযত থাকতে পারছিলাম। কাদের সঙ্গে খেলছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমার কাছে কারা আছে সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'


 






শেষ ২ ওভারে ভারতের তখনও ম্যাচ জিততে বাকি ছিল ৩১ রান। বোলার ছিলেন হ্যারিস রউফ। যিনি তার আগে পর্যন্ত বল হাতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন।


১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে রউফকে পরপর দুটি ছক্কা মারেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ভারতীয় শিবির বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, পাকিস্তানকে হারিয়ে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব।


রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারানোর পর কোহলিকে নিয়ে জয়োধ্বনি। সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্য কোহলিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলেই দিলেন যে, রউফকে ওইরকম ছক্কা একমাত্র কোহলিই মারতে পারেন।


বোর্ডের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেছেন, 'আমি খুব খুঁটিয়ে দেখেছি ওই দুটো শট। আমি নিজে প্রচুর ছক্কা মেরেছি। তবে ওই দুটো ভীষণ স্পেশ্যাল। আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি এত ক্রিকেট খেলেছি, এরকম ছক্কা মারিনি। মনে হয় না মিস্টার কোহলি ছাড়া কেউ ওরকম ছক্কা মারতে পারত।'


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) পাক-বধের নায়ক তিনি। রবিবার তাঁর অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস দেখে গোটা বিশ্বে তাঁর নামে উঠছে জয়োধ্বনি। সেই বিরাট কোহলি অবশ্য জানিয়ে দিলেন, তিনি ক্রিজে গিয়ে বেশ চাপে ছিলেন। বরং ভয়ডরহীনভাবে ব্যাটিং করছিলেন সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্যই।


রবিবার মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেয় কোহলি-হার্দিকের জুটি। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৭৮ বলে ১১৩ রান যোগ করেন দুই তারকা। হার্দিক আউট হলেও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।