পারথ: শেষ বিশ্বকাপ এসেছিল ১১ বছর আগে। ২০১১ সালে। দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আরও আগে। ২০০৭ সালে। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তারপর এক দশকেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কোনও বিশ্বকাপ জেতেনি ভারত।


সেই অপেক্ষার অবসান চান রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'বিশ্বকাপে প্রথমবার দেশকে নেতৃত্ব দেব। আমি খুবই উত্তেজিত। এটা সত্যি যে, আমাদের দেশে অনেক বছর ধরে বিশ্বকাপ আসেনি। আমরা কিন্তু এবার বিশ্বকাপ জিততেই এসেছি। তবে একটা ম্যাচ জিতলেই তো চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাবে না। বরং ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেটাই আমাদের লক্ষ্য।' 


রোহিত যোগ করেছেন, 'বেশিদূর নিয়ে এখনই ভাবনাচিন্তা করতে চাইছি না। সবার সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে খেলার ইচ্ছা আছে। আমরাও ব্যতিক্রম নই। তবে একেবারে শুরু থেকেই আমরা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল নিয়ে ভাবছি না। প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে নিয়ে ভাবছি। সব দলকে সমান গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।' 


গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) বাবর আজমদের (Babar Azam) বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হেরে গিয়েছিল ভারত। সেই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। কয়েক মাস আগে এশিয়া কাপে দুবার ফের দুই প্রতিবেশী দেশের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেখানে প্রথম ম্যাচ জিতলেও, সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। রোহিত বলেছেন, 'আমি জানি সবাই পাকিস্তান ম্যাচের আগে খুব উত্তেজিত। বিশ্বকাপের সব থেকে বড় ম্যাচ এটা। দু’দেশের কোটি কোটি সমর্থকের নজর থাকে এই ম্যাচের দিকে। যাঁরা মাঠে আসেন, যাঁরা বাড়িতে বসে খেলা দেখেন, সকলেই উত্তেজিত থাকেন। কিন্তু আমরা সে সব নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না। নিজেদের মধ্যে বেশি কথা বলছি না। শুধু নিজেদের প্রস্তুতির দিকে নজর দিচ্ছি।' 


বিশ্বকাপ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলছেন, 'যে ফরম্যাটই হোক, বিশ্বকাপ সবসময়ই আলাদা। আমরা কী করতে চাইছি, সেটা মুখে বলতে চাই না। পরিকল্পনা, প্রস্তুতি সবই ভালো হয়েছে। অতীত নিয়ে যেমন বেশি ভাবতে চাই না, তেমনই ভবিষ্যৎ নিয়েও বেশি ভাবছি না। ম্যাচের দিন করে দেখাতে চাই। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে এসেছি। যদিও সেটা ঘরের মাঠে। এখানে চ্যালেঞ্জ আলাদা। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া খুবই জরুরি ছিল। দলের অনেকেই প্রথম বার অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে। সে কারণেই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার অনেক আগে এখানে চলে এসেছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ওদের জন্য বেশি জরুরি ছিল। দলের সকলেই বিশ্বকাপে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।' 


আরও পড়ুন: বোর্ডের কমিটি থেকে সরে দাঁড়াক, তোপ প্রাক্তন কর্তার, আমল দিচ্ছেন না সৌরভ-অভিষেক