পারথ: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারথে জিম্বাবোয়ের (Pak vs Zim) নাটকীয় জয়ের মাঝেই আলোচনা শুরু হয়ে যায় সিকন্দর রাজার (Sikandar Raza) একটি অঙ্গভঙ্গি নিয়ে। পাক বধের নায়ক ম্যাচের সেরা হন। তাঁকে দেখা যায়, সতীর্থদের দিকে চেয়ে হাতের কব্জিতে টোকা মারছেন। যা নিয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রশ্নও করা হয় সিকন্দরকে।


পাক বধের নায়ক জানালেন, কী কারণে তিনি এই ইঙ্গিত করেছিলেন।


ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার হাতে নিয়ে সিকন্দর বলেন, 'আমরা তখন অস্ট্রেলিয়ায় আসছিলাম। আমি অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে (Craig Ervine) বলেছিলাম, তুমি কোনও ম্যাচে সেরা হলে ক্যাটালগ থেকে যে কোনও ঘড়ি পছন্দ কোরো, আমি কিনে দেব। আর আমি যদি ম্যাচের সেরা হই তুমি আমাকে কিনে দেবে। সে জন্যই ওকে মনে করাচ্ছিলাম যে, আমার তিনটি ঘড়ি পাওনা হয়ে গেল।'


তার আগে জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক আরভিনও বলেন, 'আমার তো মনে হয় ওর তিনটি ঘড়ি পাওনা হয়ে গিয়েছে। বাড়ি যেতে যেতে না আমাকে সর্বসান্ত হয়ে পড়তে হয়।' যা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত সকলেই।


তাঁর জন্ম পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন, পাইলট হবেন। যোগ দেবেন পাক বিমানবাহিনীতে। ৬০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়েছিল মাত্র ৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তিনি। কিন্তু দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কারণে এসে তৃতীয় বর্ষে এসে বাতিল হন সিকন্দর রাজা (Sikandar Raza)। জীবন বইতে শুরু করে অন্য খাতে।


বিদেশে পড়াশোনা। ক্রিকেট প্রেম ছোট থেকেই। পরে জিম্বাবোয়েতে গিয়ে ক্রিকেট খেলা এগিয়ে নিয়ে যান। সেই সিকন্দরের হাতেই বৃহস্পতিবার পারথে ঘায়েল হল তাঁর জন্মভূমি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে চমক দিল জিম্বাবোয়ে। যে জয়ের নায়ক সিকন্দর। লো স্কোরিং ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৯ রান। তবে বল হাতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচ করে তুলে নেন ৩ উইকেট। তাঁর শিকার শান মাসুদ, শাদাব খান ও হায়দার আলি। পাকিস্তান ব্য়াটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন সিকন্দরই। সেই সঙ্গে শেষ বলে ২ রান নিতে দৌড়নো শাহিন শাহ আফ্রিদিকে রান আউট করার নেপথ্যেও সিকন্দরের দুরন্ত ফিল্ডিং। তিনিই বল ধরে থ্রো করেন রেগিস চাকাভাকে। যে থ্রো ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন জিম্বাবোয়ের উইকেটকিপার। পাকিস্তানের হার নিশ্চিত হয়।


আরও পড়ুন: ভাঙল যুবরাজের রেকর্ড, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন কীর্তি রোহিতের