মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: পাহাড়ে হামরো পার্টিতে (Hamro Party) ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি দলের প্রধান অজয় এডওয়ার্ডসের। তাঁর দাবি, জিটিএ-র (GTA) শাসকদল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, হামরো পার্টিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।  দলবদল করেছেন, এই অভিযোগে তাঁর দলের দুই জিটিএ সদস্যকে বহিষ্কারও করেছেন অজয়। যদিও দল ভাঙানোর অভিযোগ মানতে নারাজ অনীত থাপার দল (Anit Thapa)। 


পাহাড়ে হামরো পার্টিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ


পাহাড়েও বিরোধী দলে ভাঙনের ইঙ্গিত। বিরোধী দল হামরো পার্টির অভিযোগ, তাদের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।   হামরো পার্টির দুই GTA সদস্যকে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দলে টেনেছে বলে অভিযোগ হামরো পার্টির প্রধানের। 


চলতি বছরের জুনে পাহাড়ে ভোট হয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের। GTA-এর মোট আসন ৪৫। তার মধ্যে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ২৭টি আসন নিয়ে ক্ষমতায়।  হামরো পার্টির সদস্য সংখ্যা ৮। 


মঙ্গলবার হামরো পার্টির প্রধান সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন, তাঁর দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। ইতিমধ্যেই তাঁর দল ছেড়ে দুই জিটিএ সদস্য ওই দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Mukul Roy: আট বছর পর মমতার বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে হাজির মুকুল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সক্রিয় হয়ে ওঠারই ইঙ্গিত!


সেই সঙ্গে অজয় এডওয়ার্ডর অভিযোগ, দার্জিলিং পুরসভায় তাঁদের বোর্ড থাকলেও সেখান থেকেও কাউন্সিলর ভাঙানোর চেষ্টা চলছ। অজয় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন, পাহাড়ে শক্তিশালী বিরোধী দল হোক। এখন পাহাড়ের শাসকদল বিরোধীদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে।  তারা চায় না পাহাড়ে বিরোধী থাকুক। তারা পাহাড়ে একচ্ছত্র ক্ষমতা পেতে চায়। আমরা দু’জনকে বহিষ্কার করেছি।’’


ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রশ্ন, তারা তো সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা কেন দল ভাঙাতে যাবে? পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ও জিটিএ চেয়ারম্যান অঞ্জুল চৌহান। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে জানি না। অজয় এডওয়ার্ডের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখেছি। আমরা কেন কিনব? আমাদের তো বোর্ড আছে।  কেন টাকা দিয়ে নিয়ে আসব? আমরাই তো বোর্ড চালাচ্ছি।’’


এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে শক্তিশালী বিরোধী দলের পক্ষেই সওয়াল করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তা ছেত্রী বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে শক্তিশলী বিরোধী দল খুব প্রয়োজন। বিরোধী দলকে মানতে হবে। তবে অজয়ের পার্টিতে কী হয়েছে, তা বলতে পারব না।’’


যে দুই জিটিএ সদস্যকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন হামরো পার্টির প্রধান, তাঁদের মধ্যে ভূপেন্দ্র ছেত্রী জানিয়েছেন, দিওয়ালির জন্য তিনি ২ দিন ফোন ধরেননি। ফোন না ধরার কারণে এই পদক্ষেপ কেন নেওয়া হল? বলা হচ্ছে, তিনি না কি ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যাচ্ছেন। ব্যবস্থা যখন নিয়েছে, তখন তিনি সেই মতোই চলবেন। 


বিরোধী দলের পক্ষে সমর্থন তৃণমূলের


এ বছরই কার্শিয়ং, মিরিক ও কালিম্পং পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। বছর ঘুরলেই রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দল ভাঙানোর অভিযোগ ঘিরে সরগরম পাহাড়।