মেলবোর্ন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (IND vs PAK) ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে এক সময় বিরাট চাপে ছিল ভারতীয় দল। পাওয়ার প্লের পরের বলেই অক্ষর পটেল রান আউট হওয়ায় মাত্র ৩১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারতীয় দল। তারপর হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya) ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন। অবশ্য রানের গতি কিন্তু ছিল খুবই কম। তবে ১২ তম ওভারেই হার্দিক ও বিরাট মহম্মদ নওয়াজের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। এই ওভারই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল?
১২তম ওভারে ২০ রান
১১ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল মাত্র ৫৪ রান, রান রেট পাঁচেরও কম। তবে ১২ তম ওভারের প্রথম বলেই মহম্মদ নওয়াজের বিরুদ্ধে হার্দিক পাণ্ড্য একটি বড় ছক্কা হাঁকান। এটিই ছিল ভারতীয় ইনিংসের প্রথম ছয়। ওই একই ওভারের চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলেও যথাক্রমে কোহলি ও পাণ্ড্য ছয় মারেন। ওভারে ওঠে ২০ রান। এরপরেই দুই ভারতীয় ব্যাটার রানের গতি বাড়ান। পরের তিন ওভারে ওঠে ২৬ রান। যে কোনও ম্যাচেই ছন্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নওয়াজের ওভারের পরেই ভারতীয় ব্যাটাররা সেই ছন্দ খুঁজে পান।
তাই অনেকেই মনে করছেন নওয়াজের এই ওভারই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শেষমেশ নওয়াজের বলেই অবশ্য ৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন হার্দিক। তবে পাকিস্তানি স্পিনার ম্যাচের শেষ ওভারে ১৬ রান বাঁচাতে ব্যর্থ হন। চার উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। বিরাট কোহিল ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রসঙ্গত, ভারতের বোলিং ইনিংসেও নওয়াজের মতোই বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষর পটেলের বিরুদ্ধে তিনটি ছয় মেরেছিলেন ইফতিকার আমেদ। ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা সাফ জানিয়ে বিরাট-হার্দিকের পার্টনারশিপই ম্যাচে পার্থক্য দেন।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে কুশলের অনবদ্য অর্ধশতরান, আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জিতল শ্রীলঙ্কা