অ্যাডিলেড: তাঁর কাছে পয়মন্ত মাঠ। এই মাঠ তাঁকে কখনও খালি হাতে ফেরায়নি। চলতি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে ঝলসে উঠেছিল তাঁর ব্যাট। ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ম্যাচ জিতেছিল ভারত।


এবার সামনে ইংল্যান্ড। মঞ্চ আরও বড়। কারণ, বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে ভারত-ইংল্যান্ড (Ind vs Eng) মুখোমুখি হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে। যে ম্যাচ জিতলে ট্রফির আরও এক ধাপ কাছে চলে যাবে টিম ইন্ডিয়া। আর সেই ম্যাচের আগে নেটে বিধ্বংসী মেজাজে কিং কোহলি।


বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কোহলি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নেটে ব্যাটিং অনুশীলন সারছেন তিনি। প্রায় প্রত্যেক বলেই খেলছেন আক্রমণাত্মক শট। কখনও ব্যাকফুটে, কখনও সামনের পায়ে। কখনও আবার স্টেপ আউট করে। আর কোহলির ব্যাটে বল লাগার পর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে টাক... টাক... টাক...। ক্রিকেটের পরিভাষায় 'স্যুইট সাউন্ড'। ব্যাটের ঠিক মাঝখানে বল লাগলে যে শব্দ হয়।


নেটে কোহলির বিধ্বংসী ছন্দ দেখে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি হচ্ছে, এই ছন্দে যদি ম্যাচেও ব্যাট করেন কোহলি, তাহলে ভারতের জয় আটকাবে না। কেউ কেউ এমনও লেখেন যে, এই ভিডিও ইংরেজ বোলাররা দেখে থাকলে স্বস্তি পাবেন না। শেষ পর্যন্ত কি ম্যাচেও এরকমই বিধ্বংসী হয়ে উঠবেন কোহলি? প্রার্থনা করছে তাঁর আপামর ভক্তকুল।


 




কোহলিতে মুগ্ধ


আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) সেমিফাইনালের মহারণ। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় দল (IND vs ENG)। সেই ম্যাচের আগে বিরাট বন্দনায় ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস (Ben Stokes)। বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন স্টোকস।


কয়েক মাস আগেই বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ছিল। প্রশ্ন উঠছিল তাঁর ভারতীয় একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েও। তবে সেইসব এখন অতীত। চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক বিরাট। একের পর এক ম্যাচে ব্যাট হাতে নজর কাড়ছেন ভারতের তারকা ব্যাটার। বিরাটের ফর্মে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে স্টোকস বলেন, 'ওঁকে কোনও ফর্ম্যাটেই বাতিলের খাতায় রাখে যায় না এবং ওঁ সেটা অর্জন করেছে। তিন ফর্ম্যাটেই ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পেয়েছে ওঁ। তবে আমরা কোনও ম্যাচের আগে অতীতের দিকে তেমন নজর দিই না।'


বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল যে আর পাঁচটা ম্যাচের মতো নয় এবং সেমিতে যে বাড়তি চাপ থাকে, সেটা স্পষ্ট মেনে নিচ্ছেন স্টোকস। 'বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ সবসময়ই কঠিন হয়। দুই গ্রপ থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে দলগুলি সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। এটা বিশ্বকাপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। বৃহস্পতিবার চাপ থাকবেই। কোন দল সেই চাপের মাঝেও মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে, সেটাই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে,' মত স্টোকসের।