নটিংহাম: তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল ক্রিকেটার। এক কথায় ম্যাচ উইনার। ওপেনেও দলের বড় ভরসা। অথচ সেই তামিম ইকবালই বড় মঞ্চে ডাহা ফেল। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ বাদ দিলে চলতি বিশ্বকাপে সেভাবে নজরেই আসেননি এই বাঁ হাতি তারকা ব্যাটসম্যান। ট্রেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮২ রান তাড়া করতে নেমে মোক্ষম সময়ে যেভাবে উইকেট দিয়ে এসেছেন, তার পর তামিম নিজেই নিজের পারফর্ম্যান্সে হতাশ। তিনি মানছেন, দল ও দেশ তাঁর থেকে যা প্রত্যাশা করে তা এখনও পর্যন্ত করে দেখাতে পারেননি তিনি।


তামিমের ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত ১১টি শতরান রয়েছে। যা বাংলাদেশি কোনও ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। তামিমের পরই ১০টি শতরান করে তালিকায় দ্বিতীয় সাকিব আল হাসান। তিন নম্বরে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এখনও পর্যন্ত ৭টি আন্তর্জাতিক শতরান রয়েছে বাংলাদেশের এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানের।


চলতি বিশ্বকাপে ফর্মে আছেন সাকিব, মুশফিকুর দুজনেই। ব্যাটে বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করে ইতিমধ্যেই গাটা বিশ্বের নজর কেড়েছেন সাকিব। মিডল অর্ডার এবং ফিনিশারের ভূমিকায় দেশের জন্য প্রয়োজনীয় রান করছেন মুশফিকুরও। একমাত্র তামিমই সেভাবে কিছু করে দেখাতে পারেননি। দলের প্রয়োজনে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা তো দূর, একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে নিজের উইকেটকে গুরুত্ব দেওয়ার মতো বিষয়গুলোও তাঁর মাথায় থাকছে না। তামিম নিজেই বলছেন, “শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমি ভাল ব্যাট করছিলাম। কিন্তু সেই সুবিধা নিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারিনি। দল আমার থেকে অনেক কিছু আশা করে। আমি নিজেও নিজের থেকে প্রত্যাশী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কিছুই করে দেখাতে পারিনি।”



তবে তামিম ইকবাল আশাবাদী, তাঁর দল ঘুরে দাঁড়াবে। আগামী ম্যাচে দলের জয় নিশ্চিত করতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তামিমের বক্তব্য, “এখনও আমার হাতে ৩টি ম্যাচ আছে। চেষ্টা করব পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার।”