মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেটে বড়সড় রদবদল হওয়ার পথে। বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পরই কোচ শাস্ত্রীর থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নিজেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয় ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন শাস্ত্রী। এবার শোনা যাচ্ছে যে নতুন কোচের জন্য বিসিসিআইয়ের পছন্দের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন অনিল কুম্বলে ও ভি ভি এস লক্ষ্মণ।


এর আগে ২০১৬-২০১৭ ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন কুম্বলে। তাঁর কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালেও উঠেছিল ভারতীয় দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে যদিও রানার্স আপ হতে হয় তাঁদের। কিন্তু ম্যাচের ফলাফলের থেকেও যাবতীয় বিতর্ক দানা বাঁধে কুম্বলে-কোহলি দ্বৈরথ নিয়ে। শোনা গিয়েছিল যে বিরাটের সঙ্গে নাকি একেবারেই বনিবনা হচ্ছিল না কুম্বলের। শেষ পর্যন্ত কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন কুম্বলে। আর ভারতীয় দলের কোচ হন বিরাটের পছন্দের শাস্ত্রী। এবার বিরাট নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয় ঘোষণা করতেই শাস্ত্রীর মুখেও অন্য সুর শোনা গিয়েছে। তিনিও নাকি কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চান।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই কোচ শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কে হবেন পরবর্তী কোচ? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসছে। বিসিসিআইয়ের সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কুম্বলেকে যেভাবে কোচের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল তাতে অনেকেই মনক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। তাই কুম্বলেকে ফের একবার জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দেখতে চাইছেন অনেকেই। তালিকায় লক্ষ্মণ থাকলেও কিছুটা ফেভারিট প্রাক্তন লেগস্পিনারই। যদিও দুজন আদৌ এই পদের জন্য আবেদন করবেন কিনা তার ওপরই সব নির্ভর করছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে একশো প্লাস টেস্ট খেলা কুম্বল-লক্ষ্মণকেই কােচ করার জন্য চেষ্টা চালাবে বিসিসিআই। দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে থাকছে বিদেশি কোচের নাম।


উল্লেখ্য, এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, 'আমার মনে হয় যা যা চেয়েছিলাম কোচ হিসেবে অর্জন করতে, তা আমি পেয়ে গিয়েছি। পাঁচ বছর ধরে টেস্টে ১ নম্বর স্থান ধরে রাখা। দুবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। মাইক আথারটনের সঙ্গে কয়েকদিন আগে আমার কথা হচ্ছিল, তাঁকেই আমি বলেছিলাম যে আর কিছু অর্জন করার নেই কোচ হিসেবে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়। এছাড়াও এবার ২-১ ব্যবধানে আমরা সিরিজে এগিয়ে ছিলাম। যেভাবে আমরা লর্ডস ও ওভালে খেলেছি, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।'


এরপরই জোরালো হয়েছে শাস্ত্রীর কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি। সেক্ষেত্রে হয়ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর কোচের পদে আবেদন জানাবেন না তিনি।