সিডনি: আধুনিক টেনিস বিশ্বে তাঁকে অন্যতম সেরা প্রতিভা মনে করা হচ্ছে। মাত্র ২৩ বছর বয়স। গত বছর ফরাসি ওপেনের ফাইনালিস্ট। অস্ট্রেলীয় ওপেনে শেষ তিনবারের মধ্য়ে দুবার সেমিফাইনালিস্ট। চলতি অস্ট্রেলীয় ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছেন স্তেফানোস চিচিপাস।


টেনিসের ফাঁকেও যিনি নিজের ভ্রমণপ্রেমকে ভুলে থাকতে পারছেন না। ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের এক্সট্রা সার্ভ অনুষ্ঠানে গ্রিসের তারকা বলছেন, 'আমি ভারতেও যেতে চাই। তবে টেনিস খেলার জন্য নয়। বেড়াতে যেতে চাই। গোটা দেশটা ঘুরে দেখতে চাই।'


চলতি অস্ট্রেলীয় ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়াই করে জিততে হয়েছে তাঁকে। কনুইয়ের অস্ত্রোপচারের পর ছন্দে ফিরছেন। আর্জেন্তিনার সেবাস্তিয়ান বেজকে ৭-৬ (৭-১), ৬-৭ (৫-৭), ৬-৩, ৬-৪ হারিয়েছেন। তৃতীয় রাউন্ডে তাঁর সামনে বেনুয়া পেয়ার।



এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জয়ী এমা রাডুকানুর বিদায় ঘটেছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে। এবার আমান্ডা অ্যানিসিমোভার বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘটল গতবারের চ্যাম্পিয়ন নাওমি ওসাকারও।


নাটকীয় ম্যাচে ভীষণ চাপের মুখে দুর্ধর্ষ দক্ষতা এবং ঠান্ডা মাথার পরিচয় দিয়ে টুর্নামেন্টের এখনও অবধি সবথেকে বড় অঘটন ঘটালেন আমান্ডা। তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম সেটে ৬-৪ ব্যবধানে জিতে এগিয়ে ছিলেন ওসাকা। তবে দ্বিতীয় সেট ৬-৩ ব্যবধানে নিজের নামে করে দুরন্তভাবে ম্যাচে সমতায় ফেরেন ২০ বছর বয়সী আমান্ডা। এই সেটে ১৩ নম্বর বাছাই ওসাকার ১৫টি উইনার মারেন তিনি।


এরপর তৃতীয় সেটে এক নয়, পরপর দুই ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচান আমেরিকান তরুণী। ম্যাচ টাইব্রেকারে পৌঁছলে ১০-৫ টাইব্রেকার জিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নিজের জায়গা পাকা করেন আমান্ডা। এই বছরের শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন আমেরিকান তরুণী। ওসাকাকে হারিয়ে তাঁর এই মরসুমের পরিসংখ্যান ৮-০। তবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নকে হারালেও আমান্ডার জন্য পরের রাউন্ডে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি অস্ট্রেলিয়ারই ভূমিকন্যা, বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস তারকা অ্যাশলে বার্টির মুখোমুখি হবেন।