ম্যাঞ্চেস্টার: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই সাউদাম্পটনের এজেস বোলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন। সংকটজনক পরিস্থিতিতে  বাইশ গজের লড়াইয়ে দেখা যাবে বেশ কিছু পরিবর্তন। রিজার্ভ খেলোয়াড়রাই করবেন বল বয়ের কাজ। স্টাম্প ও বেল পরিষ্কারের জন্য নেওয়া হবে বিরতি। পারসোনাল প্রোটেকটিভ গিয়ার (পিপিই) পরে সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররা ম্যাচ কভার করবেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে এই অভিনব টেস্ট সিরিজ আজ এভাবেই শুরু হচ্ছে।

১১৭ দিন পর আজ ক্রিকেটের সূতিকাগারেই শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ। দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে বায়ো সুরক্ষিত পরিবেশে খেলা হবে এই টেস্ট। ইংল্যান্ড ও ওয়েলেস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)  কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তা সাউদাম্পটনে পাঠানো হয়েছে।

  • শুধু দুই দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস ও জেসন হোল্ডার এবং ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড টস করতে নামবেন।

  • টসের সময় থাকবে না কোনও ক্যামেরা। হবে না করমর্দনও।

  • আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও রিচার্ড ক্যাটেলবোরি নিজেদেক বেল নিয়ে মাঠে নামবেন এবং স্ট্যাম্প ও বেল স্যানিটাইজ করার জন্য বিরতি নেওয়া হবে

  • গ্লাভস, শার্ট, জলের বোতল বা সোয়েটার একে অন্যের মধ্যে আদানপ্রদান করতে পারবেন না ক্রিকেটাররা।

  • থাকবে না কোনও বল বয় । গ্রাউন্ড স্টাফরা খেলোয়াড়দের ২০ মিটার এলাকার মধ্যে আসবেন না

  • উভয় দলের একাদশের নামের তালিকা হবে ডিজিটাল। স্কোরাররা পেন ও পেন্সিল শেয়ার করতে পারবেন না

  • অনুমোদিত ব্যক্তিদের চিপ-নিয়ন্ত্রিত কোভিড ট্র্যাকার কার্ডের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হবে

  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আগেই বলে লালরসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এ ব্যাপারে, দুবার সতর্ক করার পর পাঁচ রান জরিমানা হবে

  • ওভারবাউন্ডারি হাঁকালে বল গ্যালারিতে চলে গেলে স্কোয়াডের খেলোয়াড়ই দস্তানা পরে তা মাঠে ফেরাবেন। অন্য কেউ বল হাতে নিতে পারবে না


 

খেলোয়াড়রা যে হোটেলে থাকবেন, সেখানকার দরজা একটি অ্যাপের ব্যবহারে খোলা যাবে। এতে দরজার হ্যান্ডেল স্পর্শ করার প্রয়োজন হবে না। থাকবে না রুম সার্ভিস ও লিফ্ট।

চলতি অস্বাভাবিক পরিবেশে বাইশ গজে লাল বল ও ব্যাটের টক্কর ফের শুরু হচ্ছে। কিন্তু মাঝখানে অনেক কিছুই আর আগের মতো থাকছে না, তা বলাই বাহুল্য। নতুন নিয়মে পাঁচদিনের ম্যাচের লড়াই দুই দলের।