এজবাস্টন: সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেন স্টোকস, ব্রেন্ডন ম্যাকালামরা। টেস্টের প্রথম দিন মাত্র ৭৮ ওভার ব্যাট করে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। যাতে শেষ বেলায় অস্ট্রেলিয়ার (Eng vs Aus) উইকেট তুলে ধাক্কা দেওয়া যায়।


টেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে অবশ্য ইংল্যান্ডের কৌশল খাটল না। ৪ ওভার বল করেও কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারলেন না স্টুয়ার্ট ব্রড, অলি রবিনসনরা। প্রথম দিনের শেষে ৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের রান বিনা উইকেটে ১৪। ১৩ বলে ৮ রান করে ক্রিজে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। ১২ বলে ৪ রান করে তাঁর সঙ্গে ক্রিজে উসমান খাওয়াজা।


কেন তাঁকে সেরাদের তালিকায় রাখা হয়, রুট তা প্রমাণ করে দিলেন শুক্রবার। এজবাস্টনে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন। তাও এমন একটা বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে, যাঁদের বিরুদ্ধে মাত্র এক সপ্তাহ আগে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কোহলি-রোহিত শর্মারা। টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে সাধারণ স্তরে নামিয়ে আনলেন রুট। টেস্ট কেরিয়ারে নিজের ৩০তম সেঞ্চুরি করলেন ইংরেজ তারকা।


অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮ বছর পর সেঞ্চুরি করলেন রুট। ২০১৫ সালে তিনি শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন অজিদের বিরুদ্ধে। তারপর করলেন ২০২৩ সালে।


তবে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে রুটের একটি শট। ধ্রুপদী ব্যাটার হিসাবেই পরিচিত রুট। টেকিনিকের দিক থেকে দুরন্ত রুট সাধারণত টি-টোয়েন্টি সুলভ শট খেলেন না। তবে তিনিও যে ঝুঁকি নিয়ে বল ওড়াতে পারেন, দেখিয়ে দিলেন রুট। অজি পেসার স্কট বোল্যান্ডের একটি বল রিভার্স স্কুপ করে বাউন্ডারির বাইরে ফেললেন রুট। যা দেখে ভক্তরা অবাক।


 






অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কার্যত ওয়ান ডে ক্রিকেটের ভঙ্গিতে খেলে মাত্র ৭৮ ওভারে ৩৯৩/৮ স্কোর তুলে ডিক্লেয়ার করে দিল ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসদের যে সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিল। অনেকে যেমন প্রশংসা করলেন সাহসী সিদ্ধান্তের, অনেকে সমালোচনাও। বলা হল, প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দল, যারা সদ্য টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তখন এই সিদ্ধান্ত বেশি তাড়াহুড়ো করে হয়ে গেল না তো?