বিশ্বকাপে এই এগারোজন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি
সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি দল একেবারেই প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১০ দলের এমন কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁদের পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক। তাঁদের ফর্ম, ধারাবাহিকতা সহ বিভিন্ন খামতি দেখা গিয়েছে।
ক্রিস গেইল-৮ ম্যাচে মাত্র ২৪২ রান করেছেন তিনি। গড় ৩০.৫২, স্ট্রাইক রেট ৮৮.৩২। টুর্নামেন্টে তাঁর সর্বাধিক রান ৭২।
মার্টিন গাপ্টিল-২০১৫ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের কৃতিত্ব ছিল তাঁর। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে মাত্র ১৮৬ রান করেছেন তিনি। গড় ২০.৮৬। দুবার কোনও রান না করেই আউট হয়েছেন। এবারের বিশ্বকাপে তাঁর সবচেয়ে বড় রানের ইনিংস ৭২।
হাসিম আমলা- ৭ ম্যাচে ২০৩ রান করেছেন আমলা। তাঁর গড় ৬৪.৮৬। দুটি হাফসেঞ্চুরি করলেও একটিও ওভারবাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি।
কেদার যাদব- ৩৪ বছরের কেদার এবারের বিশ্বকাপে মনে রাখার মতো পারফর্ম করতে পারেননি। ৫ ম্যাচে তাঁর মোট রান ৮০। মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে সেমিফাইনালে দলে জায়গাও মেলেনি তাঁর।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল-১০০ বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েও এবারের বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ফ্লপ ম্যাক্সওয়েল। ১০ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৭৭ রান। গড় ২২.১২।
শোয়েব মালিক- পাকিস্তানের হয়ে এবারের বিশ্বকাপে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন শোয়েব। করেছেন মাত্র ৮ রান! এর পরের ম্যাচগুলিতে প্রথম একাদশে আর সুযোগই পাননি তিনি। বল হাতে মাত্র ১ টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের পর একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে অবসরের ঘোষণাও করেন তিনি।
সরফরাজ আহমেদ-বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ ব্যর্থ পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ৮ ম্যাচে মাত্র ১৪৩ রান করেছেন তিনি। অর্ধশতরান মাত্র একটি। টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচেও অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি।
রশিদ খান-বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রথম ১০ বোলারদের মধ্যে ছিলেন রশিদ। কিন্তু বল হাতে বিশ্বকাপে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে। ৯ ম্যাচে ৬৯.৩৩ গড়ে মাত্র ৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে মোট ৪৩১ বল করে ৪১৬ রান দিয়েছেন তিনি। তাঁর ইকনমি ৫.৭৯।
মাশরফি মোর্তাজা- বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরফি মোর্তাজা ৮ ম্যাচে মাত্র একটি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকনমি প্রতি ওভারে ৬ রান। তাঁর ৩৩৬ বলে ৩৬১ রান এসেছে।
কাগিসো রাবাডা- ৯ ম্যাচে ১১ উইকেট পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে ইমরান তাহিরের চেয়ে একটি কম উইকেট পেয়েছেন তিনি।
কুলদীপ যাদব- চায়নাম্যান এই বোলার সাত ম্যাচে মোট ৬ উইকেট পেয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁর গড় ৫৬.১৭। স্ট্রাইক রেট ৬৭। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাবর আজমকে দুরন্ত বলে আউট করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর থেকে তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পাওয়া যায়নি।