পাল্লেকেলে: কয়েক বছর আগেও, বিশ্ব ক্রিকেটে ত্রাস ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কার এই বোলারের গোড়ালি-ঘেঁষা ইয়র্কারগুলি ব্যাটসম্যানদের কাছে দুঃস্বপ্ন ছিল। বিশেষ করে, ক্রিকেটের ছোট ফর্ম্যাট— অর্থাৎ একদিন ও টি-২০ ম্যাচে মালিঙ্গা বিধ্বংসী ছিলেন।
কিন্তু, একের পর এক চোটের ফলে, বর্তমান মালিঙ্গা অতীতের ছায়া মাত্র। এখন মালিঙ্গার বয়স ৩৪। ফলে, তাঁর বোলিংয়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। ধার ও ভার দুই-ই কমেছে। একটানা ৯০ মাইল গতিতে দীর্ঘক্ষণ বল করতে পারেন না তিনি।
তার ওপর হাঁটুর চোটের জন্য দীর্ঘ দেড় বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের প্রায় শেষলগ্নে পৌঁছে এখন বোলিং নিয়ে নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন মালিঙ্গা। আর এই বিষয়ে তাঁকে সাহায্য করছেন ভারতের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার জাহির খান।
এতদিন গতি-ই ছিল মালিঙ্গার বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র। কিন্তু, এখন মালিঙ্গা বুঝে গিয়েছেন, কেরিয়ারের জন্য গতিকে ছেড়ে এবার সুইংয়ে জোর দিতে হবে। আর তাই জাহিরের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জাহিরের সঙ্গে মালিঙ্গার সম্পর্ক এমনিতেই ভাল। কারণ, দুজনই দীর্ঘদিন একসঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর হয়ে খেলেছেন। পাশাপাশি, একটা সময় জাহির নিজেও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ফলে, মালিঙ্গা জানেন, জাহিরের থেকে কেউ তাঁর বিষয়টি বুঝতে পারবে না।
মালিঙ্গা স্বীকারও করে নেন সেই কথা। বলেন, জাহির গতির চেয়ে বেশি সুইং ও সিম সহায়ক বোলার। আগামী কয়েক বছর আমিও এই কৌশল নিতে চাইছি। সেটাই ওর (জাহির) সঙ্গে আলোচনা করলাম।
প্রাক্তন সতীর্থ সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা করেন মালিঙ্গা। বলেন, নিজের জমানায় জাহির ভারতীয় বোলিং লেজেন্ড ছিল। তিনি যোগ করেন, যখনই সুযোগ পান, বিভিন্ন প্রাক্তন বোলারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের থেকে টিপস নেন।
প্রসঙ্গত, মালিঙ্গা প্রথম বোলার নন যিনি জাহিরের থেকে পরামর্শ চেয়েছেন। এর আগে, ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসনও জানিয়েছিলেন, তিনি জাহির খানের থেকে রিভার্স সুইংয়ের কৌশল জেনেছেন।