২০১৮ সালে শামি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ আনেন স্ত্রী হাসিন জাহান। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মহিলার সঙ্গে শামির চ্যাটের স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেন হাসিন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
হাসিনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই ২০১৮ সালের মার্চে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন শামি। তিনি সে বছরের বেশিরভাগ সময়টাই জাতীয় দলের বাইরে কাটান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দলে ফিরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
রোহিতকে শামি জানিয়েছেন, ‘২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আমি চটো পাই। তারপর জাতীয় দলে ফিরতে ১৮ মাস লাগে। এই সময়টাই আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে বেদনাদায়ক মুহূর্ত ছিল। রিহ্যাব কতটা কঠিন তুমি জানো। এর সঙ্গে আমার পারিবারিক সমস্যাও ছিল। তার মধ্যেই আইপিএল-এর ১০-১২ দিন আগে আমি দুর্ঘটনার কবলে পড়ি। সেই সময় আমার ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিস্তর আলোচনা চলছিল। আমি যদি পরিবারের লোকজনের সাহায্য না পেতাম, তাহলে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে হত। সেই সময় আমি তিনবার আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলাম। আমি ২৪ তলায় থাকতাম। পরিবারের লোকজনের আশঙ্কা ছিল, আমি ঝাঁপ দেব। সেই কারণে সবসময় একজন আমার উপর নজর রাখত। পরিবারই সবচেয়ে বড় শক্তি। বাড়ির সবাই আমাক বলেছিল, সমস্যার কথা না ভেবে খেলায় মন দিতে হবে। আমি অনুশীলন করছিলাম, কিন্তু কিছুতেই মন বসাতে পারছিলাম না। সেই সময় আমার ভাই, কয়েকজন বন্ধু পাশে ছিল। ওরা না থাকলে খারাপ কিছু হতেই পারত। তাই ওদের কথা কোনওদিন ভুলব না।’