ক্রাইস্টচার্চ: নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ (NZ vs Bang)। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টের আগে আপাতত এই ঐতিহাসিক জয় উদযাপনে মেতে গোটা দেশ। এমন আবহেই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক মোমিনুল হক (Mominul Haque) বললেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের দেশের মাটিতে তিনি টেস্ট জয়ের কথা বললে সকলে তাকে পাগল বলে ভাবত!
এটাই কি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা সাফল্য? মোমিনুল হক বলেছেন ‘হ্যাঁ, আমার কাছে তা-ই মনে হয়। আপনাদের সঙ্গে আমি একমত। পরিস্থিতি যেমন ছিল সেই অবস্থা থেকে এটা অনেক বড় জয়। নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে এটা অনেক বড় কৃতিত্ব বলেই ধারণা।’
প্রথম টেস্টে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই আধিপত্য দেখিয়েছেন লিটন দাস-ইবাদত হোসেনরা। মোমিনুলের মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছে তাঁর দল। সকলে নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছে। ফলস্বরুপ এই জয়। তিনি বলেন, ‘ফল নিয়ে কিন্তু চিন্তা করিনি। এখন বললে হয়তো অনেকে বলবে লোকটা পাগল হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী যেন খেলতে পারি সেটাই ছিল লক্ষ্য। ব্যাটিংয়ের সময় লক্ষ্য ছিল লম্বা সময় ধরে খেলার। বোলিংয়ে একটা জায়গায় বল করা। সেটা করতে আমরা সফল হয়েছি।’
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাফল্য। বিশ্বের এক নম্বর দল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতেই হারিয়েছেন পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটারেরা। উঠে এসেছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রমতালিকার পাঁচ নম্বরে। বুধবার বে ওভালে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ আয়োজক দলকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনও ফরম্যাটেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচে জিততে পারেনি, টেস্ট তো দূরের কথা।
আরও পড়ুন: সব রাজ্য সংস্থাকে চিঠি পাঠালেন সৌরভ, কী লিখলেন?
পাঁচ দিনের ফরম্যাটে বাংলাদেশ এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি। ২০১৭-তে ৫৯৫ রানের পাহাড় গড়েও হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তারপর বুধবার বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে যে কৃতিত্ব দেখাল, তা ভারত ও পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলও গত ১১ বছরে পারেনি। আসলে এশিয়ার কোনও দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতেই টেস্টে হারানোর ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ তে। ওই বছর পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছিল। তারপর থেকে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডে পাঁচটি টেস্ট খেলেছে। কিন্তু এর কোনও একটিতেও জিততে পারেনি।