আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে খেলে বার্সেলোনার মেসি পা রাখার পরই বিমানবন্দরে ঘটেছে যে ঘটনা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নতুন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রীতিমতো হাল ছেড়ে দেওয়ার সুরে এলএম টেন বলেছেন, ‘ক্লাবে যাই সমস্যা হোক সবটাই আমাকে ঘিরে শুনে শুনে আমি ক্লান্ত।’
দিনকয়েক আগে আঁতোয়া গ্রিজম্যানের প্রাক্তন পরামর্শদাতা এরিক ওলহাটস দাবি করেছিলেন, ক্লাবের অন্দরে মেসির চলাফেরার ধরন খুব আপত্তিকর। কয়েকজনকে শুধু খুশি রেখে নিজের রাজত্ব বানিয়ে ফেলেছে ও। আর্জেন্টিনা থেকে ১৫ ঘণ্টা বিমানযাত্রার পর মেসি কাতালান শহরে পৌঁছতেই বিমানবন্দরেই তাঁর পথ আগলে বিষয়টা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।
যার উত্তরেই বারবার সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসার বিষয়টি নিয়ে আফশোস ঝরে পড়েছে মেসির গলায়। কিছুদিন আগে মরশুম শুরুর ঠিক আগে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির বিবাদ হয়ে উঠেছিল বিশ্ব ফুটবলের হট কেক।
ক্লাব ছাড়তে চেয়ে মেসি চরম বার্তা দিলেও তাঁকে শেষপর্যন্ত আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিল বার্সেলোনা। গোটা বিষয়টা নিয়ে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দেগেছিলেন মেসি।
আপাতত সেসব পিছনে ফেলে নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের প্রশিক্ষণে ফের চেনা ছন্দে ফেরার কাজটা করছিলেন তিনি। কিন্তু ফের একবার মাঠের বাইরের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় উঠে এল বার্সেলোনা-মেসির মধ্যে চির ধরা সম্পর্কের সমীকরণ। যার প্রভাব বার্সেলোনা অধিনায়েক মাঠের পারফরম্যান্সে পড়বে কি না, আপাতত সেটাই দেখার।